Education

Reunion Festival: আচার্য-শিক্ষার্থী মিলন উৎসব, দেশ-বিদেশ থেকে যোগ দিলেন প্রাক্তনীরা! পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলে যেন ‘চাঁদের হাট’

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জানুয়ারি:কেউ চিকিৎসক, কেউ শিক্ষক, কেউবা বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত, কেউবা দেশের নানা সংস্থায় কর্মরত। আবার কেউ নার্স কিংবা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মী। অনেকেই আবার কৃষিকাজে যুক্ত। কেউ থাকেন ভিন রাজ্যে, কেউ আবার বিদেশে। তবে, বেশিরভাগ জনই এই রাজ্যেরই বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁরা সকলেই এসেছিলেন ‘মহামিলন-মেলায়’। দীর্ঘ ৩৬ ও ৩৭ বছর পরে আচার্য ও শিক্ষার্থীদের মিলন ঘটিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়াতের অন্তর্গত শশিন্দা সাগর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৫-‘৮৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। আচার্য শিক্ষার্থী এই মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল গত ২২ জানুয়ারি, রবিবার। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পরলোকগত শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাশ্মীরি শাল, স্মারক প্রভৃতি নানা উপহার দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হল। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে ‘শ্রদ্ধা’ ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হচ্ছে! আয়োজক প্রাক্তনীদের পক্ষে জানানো হলো, “আমাদের সমাজ গড়ার কারিগর। তাঁদের অবদান আমরা ভুলবো কি করে! কৈশোরের উচ্ছৃঙ্খল-এলোমেলো জীবনকে সঠিক দিশারী দেখতে পারেন একমাত্র আচার্যবৃন্দ।”

আচর্য-শিক্ষার্থী মিলন উৎসব:

রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই প্রাক্তনীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে সেই সময়ের ২০ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। দুই শিক্ষাবর্ষের পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী এই উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান কক্ষে আচার্য মন্ডলীকে স্মারক, শাল ও নানা উপহার দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এরপর তৎকালীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত হওয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন এবং তৎকালীন আচার্য মন্ডলীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পেরে তাঁরা সম্মানিত বোধ করেন। এরপর চলে আচার্য মন্ডলী’র স্মৃতিচারণ। পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষার্থীদের নানা পরামর্শ, উপদেশ দেন। আনন্দে বিহ্বল, উদ্বেল হয়ে পড়েন কেউ। কারুর চোখে আনন্দাশ্রু। কেউ গান পরিবেশন করেন, কেউ কবিতা পাঠ, কেউবা আবৃত্তি পরিবেশনের মাধ্যমে এই মিলন উৎসবকে স্মরণীয় করে তোলেন। এই মিলন উৎসবকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখায় সমৃদ্ধ স্মারক সংখ্যা ‘পিছুটান’ প্রকাশিত হয়। প্রাক্তনী শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই বললেন, “দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর পর এই মিলন দৃশ্য সত্যিই ছিল অপূর্ব।” কেউ কেউ এই উৎসবকে ‘অভূতপূর্ব’ আখ্যাও দেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর তেওয়ারি এই উৎসবকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ রূপদানের অর্থাৎ প্রাক্তনী গঠনের প্রস্তাব দেন। পরিকল্পনা হয় এই উৎসব ধারাবাহিকভাবে করার। দিনের শেষে বিদায় পর্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পা ছুঁয়ে প্রণাম, বুকে টেনে নেওয়ার দৃশ্যও দেখা যায়। ক্যামেরায় ধরা পড়ে নানা রঙিন মুহূর্তও। এভাবেই বারবার প্রাক্তনীরা ফিরে পেতে চান তাঁদের কৈশোরের দিনগুলি!

প্রাক্তনীদের অনন্য উদ্যোগ:

News Desk

Recent Posts

Snake Lover: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন; পোষা কেউটের দংশনেই প্রাণ হারালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘সর্পবন্ধু’

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…

14 hours ago

Medinipur: খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতিতে মাতৃগর্ভেই শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…

17 hours ago

Midnapore: কথা দিয়ে কথা রাখেনি; পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষকের করা মামলায় বহুজাতিক সংস্থাকে জরিমানা করল জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…

2 days ago

Medinipur: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি; হঠাৎই বেরিয়ে এল প্রাচীন সুড়ঙ্গ! চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে

শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…

2 days ago

Midnapore: সিরিঞ্জ থেকে জীবনদায়ী ওষুধের সং*কট মেদিনীপুর মেডিক্যালে! চিঠি লিখলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…

3 days ago

Midnapore: ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…

3 days ago