দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর: মুম্বাইয়ের ‘মেরিন ড্রাইভ’ (Marine Drive) এর আদলে ‘সৈকত সুন্দরী’ দীঘার ‘মেরিন ড্রাইভ’! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। পুজোর আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ‘মেরিন ড্রাইভ’ এর উদ্বোধন করে দিলেন। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের (তমলুকে) প্রশাসনিক সভা থেকে মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “পুজোর আগে উদ্বোধন করে দিলাম। যাতে সবাই আসতে পারেন। দীঘা এখন আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পট। আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই দীঘায় আসুন।” প্রসঙ্গত, সমুদ্রের ধার ঘেঁষে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাঁ চকচকে এই হাইওয়ে এক সুতোয় বাঁধলো দীঘা, তাজপুর, মন্দারমণি এবং শঙ্করপুরকে।
উল্লেখ্য যে, মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভের আদলে দীঘা থেকে কাঁথি পর্যন্ত এই রাস্তার পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন ২০১৫ সালে। পরে অবশ্য তিনি ওই রাস্তার নাম বদলে দেন। সমুদ্রসৈকত লাগোয়া রাস্তার নাম মমতা দেন ‘দিঘা সৈকত সুন্দরী।’ বুধবার তমলুকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই ‘সৈকত সুন্দরী’-র উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুজোর ছুটিতে সবাই দেখতে পারবেন।” ২৬ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে থাকছে তিনটি সেতু। একটি ন্যায়কালীতে, অন্য দু’টি জলদা এবং সৌলায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৭৩ কোটির বাজেটের ১৬৩ কোটি খরচ হয়েছে এই সেতু তিনটি তৈরি করতেই। বাকি ১০ কোটি খরচ হয়েছে রাস্তা নির্মাণে। সমুদ্র সৈকতের সমান্তরাল এই চোখধাঁধানো রাস্তা নিঃসন্দেহে দীঘা সহ তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-এর প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি করল।
এদিকে, বুধবার শুধু মেরিন ড্রাইভ নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যার মোট অর্থমূল্য ৮৭৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও, ৪৭টি প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন, যার প্রস্তাবিত মূল্য ২৭৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করে মমতা বলেন, “প্রায় ১০০০ কোটির প্রকল্প পেল পূর্ব মেদিনীপুর।” তবে, একই সঙ্গে মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন নয়াচর ইকো হাব প্রকল্প এবং তাজপুর বন্দরের কথাও। পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচরে ইকো হাব এবং তাজপুর বন্দর জেলায় প্রচুর কর্মসংস্থান করবে বলে জানিয়ে মমতা বলেন, “তাজপুরে পোর্ট হবে। সেখানে অনেক কর্মসংস্থান হবে। নয়াচরে ইকো হাব হবে, সোলার পার্ক হবে। সেখানেও কাজ পাবেন অনেকে।” মমতা এও বলেন, “নয়াচর আমি আগে এক বার দেখতে গিয়েছিলাম। আবার দেখা দরকার।” তাজপুর প্রসঙ্গে বলেন, “তাজপুর পোর্ট বাংলার অর্থনীতির জন্য খুব ভাল হবে। ডায়মন্ড হারবার, কোলাঘাট, হলদিয়াকে কানেক্ট করবে।”