দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৫ জুন: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ওই ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ভ্যাকসিনের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছিল অ্যামিকাসিন নামে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। পাশাপাশি, ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের আরও কীর্তিকলাপ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা অ্যামিকেসিন ইনজেকশনের একাধিক ভায়ালের সন্ধান পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেই ভায়াল গুলির গায়ে কোভিশিল্ড বা স্পুটনিক ভি-এর নাম লেখা ছিল।

thebengalpost.in
নাটের গুরু দেবাঞ্জন :

এদিকে, করোনার টিকার পরিবর্তে শরীরে অ্যামিকাসিন প্রয়োগের ফলে ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে ইতিমধ্যে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে যে, সাধারণত অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অ্যামিকাসিন। পাশাপাশি, যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অ্যামিকাসিনের প্রয়োগে কিডনি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সর্বোপরি, এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শ্রবণ শক্তিও। যদিও, এই ভুয়ো টিকাই পেয়েছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি কেমন আছেন এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন যে, “ঘটনার পর আমার কাছে অনেক ফোন, মেসেজ এসেছে। আমি কেমন আছি, অনেকেই খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁদেরকে জানাতে চাই আমি ভালো আছি। ভয় পাবেন না, আশা করি আপনারাও সুস্থ আছেন। ওই ভ্যাকসিনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ৪-৫ দিনের মধ্যেই জেনে যাব, ওতে ঠিক কী ছিল? তবে যতটুকু কথা বলে জেনেছি ওতে ক্ষতিকারক কিছু ছিল না, তবে হ্যাঁ, ওতে ভ্যাকসিনও ছিল না।” তা সত্ত্বেও দুঃশ্চিন্তায় মিমির অনুরাগীরা।