দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২মে: কিছুতেই রোখা যাচ্ছেনা ছিনতাই! একের পর এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। তারপরও নিত্যনতুন কায়দা অবলম্বন করে ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছে ‌ দুষ্কৃতীরা। মাত্র ৭ দিন আগে, জেলা তোলপাড় করা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘রেলশহর’ খড়্গপুরের ইন্দা এলাকায়। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই দুষ্কৃতী-কে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টা’র মধ্যে ফের ছিনতাই! এবারও ঘটনাস্থল সেই রেলশহর খড়্গপুর। সোমবার সাত সকালে রেলশহর খড়্গপুরের সুভাষপল্লী এলাকায় এক ব্যবসায়ীর মুখে কিছু স্প্রে করে, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সাত লক্ষের কিছু বেশি টাকা ছিনতাই করে পালায় দুই দুষ্কৃতী। ওই ব্যবসায়ীর নাম তপন দাস। তিনি, সুভাষপল্লী এলাকারই বাসিন্দা তথা গোলবাজারের নামকরা আলু-পেঁয়াজ ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে তিনি খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

thebengalpost.net
সুভাষপল্লী এলাকা :

তপন দাসে অভিযোগ, রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ, তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত ৭ লক্ষ ১ হাজার ৯১০ টাকা একটি ব্যাগে করে নিয়ে সুভাষপল্লীর বাড়ি থেকে নিজের বাইকে করে যাচ্ছিলেন গোলবাজারের উদ্দেশ্যে। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যেই, সুভাষপল্লী জনকল্যাণ স্কুলের কাছে দুই দুষ্কৃতী তাঁর ছোট টিভিএস বাইক (লুনা বাইক)-টিকে দাঁড় করায়। তিনি কিছু বলার আগেই মুখে কিছু স্প্রে করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর, তিনি আর কিছু দেখতে পান না! ধস্তাধস্তিতে চশমাও খুলে পড়ে যায়। তারপরই, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, ওই ব্যাগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপরই, একপ্রকার অজ্ঞান হয়ে বছর ৫৫’র তপন দাস রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত ও রক্তাক্ত হন। তাঁকে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁর জ্ঞান ফিরলে, সকলে মিলে দুষ্কৃতীদের সন্ধানে কিছু দূর যান, কিন্তু ততক্ষণে তারা পগারপার! তপন দাসের বক্তব্য, “আমি ১৯৮২ সাল থেকে ব্যবসা করছি।‌ এভাবেই ব্যাগে করে টাকা নিয়ে যাই। কখনও এরকম হয়নি। প্রথমবার এই অভিজ্ঞতা হল! মনে হয়, আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল। আতঙ্কের মধ্যে আছি।”

thebengalpost.net
জনকল্যাণ স্কুল :