দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ নভেম্বর: ফের সেই একই কায়দায় বাইকে চেপে আসা। পঞ্চাশোর্ধ মহিলাকেই টার্গেট করা। লক্ষ্য গলার ভারিভুরি সোনার হার। সামনে এসে কোনো ঠিকানা জিজ্ঞেস করা! মহিলা একটু বেখেয়াল হলেই গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট। মুখে মাস্ক এবং হেলমেট থাকায়, চিনতে পারার উপায়ও নেই। নিমেষের মধ্যে বাইক নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে ছিনতাইবাজরা। গত ১২ নভেম্বরের পর ফের আজ, ১৭ নভেম্বর (বুধবার), মাত্র ৫ দিনের মাথায় রেল শহর খড়্গপুরে ছিনতাই! জানা গেছে, হেমলতা (ঊষা) নামে এক মহিলা বাজার থেকে ফিরছিলেন। তেলেগু মহিলার গলায় ছিল প্রায় তিন ভরির সোনার হার! সঙ্গে আরও একজন মহিলা ছিলেন। তাঁরা হেঁটে হেঁটে নিউ সেটেলমেন্টের কিছুটা জনশূন্য এলাকায় আসতেই, পেছন থেকে বাইকে করে আসে দু’জন। জিজ্ঞাসা করে একটি ‘ঠিকানা’ তাঁরা জানেন কিনা! মহিলারা একটু বেখেয়াল হওয়ার সাথে সাথেই ৫৫ বছর বয়সী হেমলতা’র গলা থেকে হার ছিনিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায় ছিনতাই বাজরা!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত এই নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় আগেও দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি দেখা গেছে। ফের সেখানেই বুধবার বেলা ১০টা-১১ টা নাগাদ ঘটে গেল ছিনতাই! তাও মাত্র ৫ দিনের মাথায়। আগেরবার (১২ নভেম্বর) সাতসকালে খড়্গপুর শহরের মথুরাকাঠি এলাকায় পরপর দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এখনও ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরা! মাত্র ৫ দিনের মাথায় রেলশহরে ফের ছিনতাইয়ের মামলায় আতঙ্কিত শহরবাসী! ইতিমধ্যে টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একটি সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে, একটি বাইক-গ্যাং এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত। তারা খড়্গপুর শহরের বাইরেরও হতে পারে। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তবে, মূলত সোনার হার ব্যবহার করা, তেলেগু মহিলারাই যে ছিনতাই বাজদের প্রধান টার্গেট, তাও মনে করছে পুলিশ। এক্ষেত্রে, পঞ্চাশোর্ধ নিরীহ মহিলাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। বেছে নেওয়া হচ্ছে দিনের আলোকেই। তাতেই বোধহয় সুবিধা হচ্ছে ছিনতাই বাজদের! তারপরই উধাও হয়ে যাচ্ছে তারা। ক্ষুব্ধ রেলশহরের বাসিন্দারা। রীতিমতো পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা!