দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ নভেম্বর: রবিবার ভরসন্ধ্যায় জেলাশহর মেদিনীপুরের রিংরোড হিসেবে খ্যাত জেলা পরিষদের সামনে সরগম মোড় এলাকায় (কর্মচারী ভবনের সামনে) হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল এক ছিনতাইবাজ! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী’র হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়, তরুণী’র সঙ্গে থাকা মেডিক্যালের অন্য এক ছাত্র বাইকের পেছনে বসে থাকা ওই ছিনতাইবাজের জামার কলার পেছন থেকে ধরে ফেলে! ছিনতাইবাজ মোবাইল সমেত বাইক থেকে পড়ে যায়। চলে বেদম গণপিটুনি! গণপিটুনি’র সময় ছিনতাইবাজ সুনীলের কাছে থাকা একটি ভোজালি মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কোতোয়ালী থানার পুলিশ-কে ডেকে তাঁদের হাতে ভোজালি সমেত তুলে দেওয়া হয় শহরের গোলকুঁয়াচকের বাসিন্দা বছর ২০’র ওই ছিনতাইকারীকে। তার সঙ্গে ওই বাইকে থাকা অপর দুই ছিনতাইবাজের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। কোতোয়ালী থানায় ওই তরুণী ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি হন্ডা সাইন বাইকে করে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসে তিন যুবক। সেই সময় জেলা পরিষদ রোডে, রাস্তার ধারে মোবাইল হাতে নিয়ে মেডিক্যাল পড়ুয়া ওই তরুণী ও তার আরেক বন্ধু কথা বলছিলেন নিজেদের মধ্যে। সেই সময়ই ওই তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে বাইকের পেছনে থাকা যুবক তরুণীর হাত থেকে ছোঁ মেরে মোবাইল কেড়ে নেয়! কিন্তু, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তরুণীর সঙ্গে থাকা বছর ২০’র যুবকটি কিছুটা ছুটে গিয়ে ওই দুষ্কৃতীর জামার কলার ধরে ফেলে। বাইক থেকে পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। এরপরই চলে গণপ্রহার! সেই সময়ই দুষ্কৃতীর কাছে থাকা ভোজালিটিও মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই, স্থানীয়রা কোতোয়ালী থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই দুষ্কৃতী-কে পাকড়াও করে নিয়ে যায়। ক্যামেরার সামনে সুনীল নামে ওই দুষ্কৃতী স্বীকার করেছে, সে নাকি এদিনই প্রথম এই কাজে নেমেছে। ওই ২ জন আগে থেকেই এই ধরনের কাজ করে বেড়ায়! পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত এও উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের বাইকে করে আসা ছিনতাইবাজদের দাপট বেড়েছে! তাদের টার্গেটে থাকেন মূলত মহিলারা। কখনও গলার হার, কখনও মোবাইল কিংবা মানি পার্স! সজোরে বাইক চালিয়ে এসে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ‘হাওয়া’ হয়ে যায় এই ধরনের ছিনতাইবাজরা। খড়্গপুর শহরে নিয়মিত এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও, মেদিনীপুর শহরে এই ধরনের ঘটনা তুলনায় কম! রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনার পর তাই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।