দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুন: এখনও এক সপ্তাহ পূর্ণ হয়নি খুলেছে স্কুল। এর মধ্যেই, রাজ্যের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, বাড়ছে করোনা-ও! রিপোর্ট বলছে, গত কয়েকদিনে গড়ে দেড় হাজার জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার রিপোর্টেও আক্রান্ত ১৫২৪, মৃত্যু ১ জনের। আর তারপরই, সন্ধ্যা নাগাদ কোভিড ‘পরামর্শ’ বা’উপদেশ’ (Advisory) জারি করা হলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। ৮ দফা উপদেশ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল- কোভিড ভ্যাকসিন বা করোনা টিকা’র সমস্ত ডোজগুলি নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কো-মর্বিডিটি (সুগার, প্রেশার, কিডনি-হার্ট-লিভারের রোগ প্রভৃতিতে আক্রান্ত) থাকা ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে যাওয়া এবং বুস্টার ডোজ অবিলম্বে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনবহুল এলাকাতে তাপমাত্রা মাপক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ-ও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনকেও নানা উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আর, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা মহল ফের একবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, আবার না বন্ধ হয়ে যায় স্কুল!

thebengalpost.net
বিজ্ঞপ্তি :

অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও সামান্য বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সপ্তাহ খানেক আগে অবধি যেখানে প্রতিদিন ১-২ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সম্প্রতি তা বেড়ে ১২-১৪ হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২। এর মধ্যে, মাত্র ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা বাড়িতেই আছেন। জেলায় মৃত্যুর কোনো খবর নেই। এমনকি, মারাত্মক উপসর্গ যুক্ত একজন রোগীও নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তা সত্বেও, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী সমিতির বৈঠকেও জেলার সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র। তিনিও জানিয়েছেন, জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং কোভিড পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে, মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ব্যবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনিও।

thebengalpost.net
জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির বৈঠক: