thebengalpost.net
ছবি- প্রতীকী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি:পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই আজ (৩ জানুয়ারি), সোমবার থেকে সারা দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে কিশোরদের (১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের) করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। শুরু হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা রবিবার জানিয়েছেন, “আপাতত প্রতিটি ব্লকের একটি করে বিদ্যালয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারপর ধাপে ধাপে স্কুলের সংখ্যা বাড়ানো হবে”। সেই হিসেবে ২১ টি ব্লকের ওই ২১ টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন (কোভাক্সিন) প্রদান করার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। থাকবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি কিশোর-কিশোরী (১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী) আছে, যাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া আজ থেকেই শুরু হচ্ছে।

thebengalpost.net
ছবি- প্রতীকী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের :

অন্যদিকে, দেশ ও রাজ্যের মতোই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ! গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। গত দু’দিন যে সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে, ১৭ ও ১৮। তবে, গত ৭ দিনে জেলায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তা সত্ত্বেও, জেলার তিনটি বড় হাসপাতাল-কে পুনরায় করোনা মোকাবিলা’র জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। শালবনী সুপার স্পেশালিটি, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল-কে পুনরায় করোনা যুদ্ধের জন্য সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে রবিবার থেকেই। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার শালবনী ও ঘাটাল হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ হাঁসদা রবিবার জানিয়েছেন, “তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর প্রস্তুত আছে। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো পুনরায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টেস্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সেজন্যই সংক্রমিতের সংখ্যা একটু বাড়ছে। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি এখনও”। অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার (ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন) ও অ্যাকাউন্ট অফিসারের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে সম্প্রতি। তাঁরা হোম আইসোলেশনে, স্থিতিশীল আছেন বলে জানা গেছে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল কলেজেও আরো শতাধিক শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু। ইতিমধ্যে, একটি করোনা ওয়ার্ড (করোনা সারি ইউনিট) আছে। আরও ১৫০ টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। সবমিলিয়ে, তৃতীয় মোকাবিলায় জেলাজুড়ে তৎপরতা তুঙ্গে!