দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১০ জুন : ষাটোর্ধ্ব (৬০ বছরের অধিক বয়সীদের) দের ভ্যাকসিনেশনের উপর এবার আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মর্মে জেলা প্রশাসন গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখনও কতজনের ভ্যাকসিনেশন বাকি আছে, তা একটি সার্ভের মাধ্যমে দেখে নেওয়ার জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই আশা কর্মীদের মাধ্যমে এই সার্ভে করা হবে। রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “সার্ভের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে ষাটোর্ধ কতজনের ভ্যাকসিনেশন এখনও বাকি আছে। যাদের বাকি থাকবে, তাঁদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হবে।” শারীরিকভাবে একেবারেই অক্ষম হলে, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলাই বাহুল্য, ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ ক্যাম্প বা শিবির করে ষাটোর্ধ্ব’দের গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি মেনে এবার “করোনা যোদ্ধা” সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও জরুরী ভিত্তিতে (প্রায়োরিটি বেসিসে) করোনা ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা যেহেতু সরাসরি করোনা আক্রান্তদের তথা সাধারণ মানুষের সেবা বা পরিষেবায় নিয়োজিত, তাই তাঁরা করোনা আক্রান্ত হলে, তা তাঁদের পরিবারের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে সাথে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও সুরক্ষার প্রয়োজন। তাই এবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি মেনে, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলো স্বাস্থ্য দপ্তর।
এক্ষেত্রে, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা KMC) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এই তালিকায় একদিকে যেমন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন আধিকারিক-চিকিৎসক-নার্স সহ সকল কর্মীরা আছেন, ঠিক তেমনই প্রত্যন্ত গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আশা কর্মীরাও (Informal Health Care Providers) আছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নির্দেশিকা সম্পর্কে রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারও যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেজন্যই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। সর্বসাধারণের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে তাঁদের প্রিয়জনেরা সংক্রমিত হতে পারেন, তাই তাঁদের ভ্যাকসিনেশনও অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে জেলা প্রশাসন তথা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…