দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ নভেম্বর: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা টিকাকরণের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে প্রত্যেক ১৮ ঊর্ধ্ব জেলাবাসীকে। সেই লক্ষ্যে জেলায় শুরু হয়েছে ‘স্পেশাল ভ্যাক্সিনেশন ড্রাইভ’। এই কর্মসূচিতে, রীতিমতো ভোটার লিস্ট ধরে ধরে, আশা কর্মীরা বাড়িতে (বা দুয়ারে দুয়ারে) গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করছেন। সোমবার জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই কর্মসূচির সাফল্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। জানা গেছে, এখনও এই জেলায় করোনা টিকাকরণের বাইরে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ! নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় ডোজ নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাননি প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ। তাই, অসচেতন ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। যেমন, শালবনী ব্লকের লোধা শবর, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গত ৩ দিনে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়েছে করোনা টিকা। জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস। বিভিন্ন ব্লকেই চলছে এই কর্মসূচি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “শালবনী, ডেবরা, ঘাটাল প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকাতেই চলছে স্পেশাল ভ্যাক্সিনেশন ড্রাইভ। ইতিমধ্যে সাফল্য আসতে শুরু করেছে এই কর্মসূচিতে। আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যককে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। চেষ্টা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদেরও দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করার।”
এদিকে, গত ২ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী ৭ জন ও মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। খড়্গপুর (একাধিক রেলকর্মী), মেদিনীপুর, বালিচক, মাদপুর, শালবনীতে এক বা একাধিক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন গত ২ দিনে। এদিকে, জেলায় করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে এই মুহূর্তে আশঙ্কার কিছু না থাকলেও, প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরকে এ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশে এখনও এই ভ্যারিয়েন্টের কোনো প্রভাব পড়েনি। তা সত্ত্বেও সতর্ক করা হয়েছে। আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর এমনকি বাংলাদেশ থেকেও যদি কেউ আছেন, বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট।”