দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ সেপ্টেম্বর: সারা রাজ্যের মতোই পশ্চিম মেদিনীপুরেও ভ্যাকসিন ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ! আগের দিন রাত থেকে লাইন দেওয়া থেকে শুরু করে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে যাওয়া, নানা অভিযোগ করছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেরই অভিযোগ, কুপন নকল করে লাইন-বহির্ভুত মানুষ এসে ভ্যাকসিন নিয়ে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না অনেকে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ২৫০ কুপন বিতরণ করা হলেও ৫০০ জনের হাতে একই রকমের কুপন পৌঁছে যাচ্ছে! স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘পদক্ষেপ’ নিতে চাইলে বা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর নাম নিয়ে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে! কিন্তু, সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের ফোন করলে, তাঁরা বলছেন “বাজে কথা, আমরা কাউকে পাঠাচ্ছিনা!” এ রকমই পরিস্থিতি, জেলার প্রায় প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে। কোথাও আবার, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কিংবা প্রসূতিদের অভিযোগ, “মাথায় ছাউনি নেই। ছাউনির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।” আবেদন রাখছেন, “বাড়ানো হোক ভ্যাকসিনেশন সেন্টার এবং স্বচ্ছতার সাথে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক সকলকে।” এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদনও জানানো হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক-রা যদিও জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ডোজ যাদের আছে, তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং স্বচ্ছতার সাথে বিষয়টি পরিচালনা করা হচ্ছে!
রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই, করোনা টিকা নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। মাথার ওপর কোনও ছাউনি না থাকায়, অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা প্রতিষেধক টিকা নিতে আসা মানুষজনের। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে প্রসূতি ও প্রবীনদেরও। ক্যাম্পে আসা মানুষের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন মাথার ওপর আপাতত অস্থায়ী ছাউনি করে দিক। প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে প্রায় তিনশতাধিক মানুষের জমায়েত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এদিন সমাজমাধ্যমেও সরব হয়েছেন কেশিয়াড়ির বাসিন্দা মলয় কুমার দাস। তিনি বলেন, “প্রতিদিন অনেক মানুষের যেমন ভিড় হচ্ছে তেমনি প্রতিষেধক নিতে এসে তাদের অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। ভাদ্র মাসের এই রোদ-বৃষ্টি নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মা এবং প্রবীন মানুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।” তাঁর আবেদন, প্রশাসন ছাউনি এবং বসার জায়গা করে দিক। নইলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার নেই পানীয় জলের তেমন ব্যবস্থা। যা নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিনীকুমার শীট বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে ছাউনি করা সম্ভব নয়। দু-এক দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো নতুন পদ্ধতিতে প্রতিষেধক প্রদান চালু হলে, হাসপাতালে আর ভিড় হবে না।”
অন্যদিকে, শালবনী গ্রামীণ হাসপাতালের পক্ষ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হলেও, সাধারণ মানুষ সেই আগের রাত থেকেই লাইন দিচ্ছেন রাস্তার ধারে, খোলা ছাদের নিচে। এভাবে পরেরদিন তাঁরা কুপন ও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু অনেকে তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন! একদিকে দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়ে যাওয়া শ’য়ে শ’য়ে মানুষের চাপ, অন্যদিকে প্রথম ডোজের জন্য হুড়োহুড়ি; পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এ নিয়ে শালবনীর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মনোজিৎ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আমরা বিভিন্ন প্রাথমিক ও উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকেও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি। সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তবে, বারবার সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ করছি, রাত থেকে লাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সকালেই আসুন, সুশৃঙ্খল ভাবে ভ্যাকসিন নিন।” এদিকে, শালবনী থানার পক্ষ থেকে হাসপাতালের প্রধান গেটে নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হলেও, গেটের বাইরেই চলছে লাইন দেওয়া! যদিও, শালবনী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, আজ থেকে এই বিষয়েও নজর দেওয়া হবে। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকেও, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…