দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: সারা রাজ্যের সাথে সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরেও চলছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। ডেবরা ব্লকের আলোক কেন্দ্র হাইস্কুলেও ১৫-১৮ বছরের পড়ুয়াদের ভ্যাক্সিন চলছিল। সেখানেই সোমবার আবদালীপুর এলাকার এক নবম শ্রেনীর ছাত্র’কে দশ মিনিটের ব্যবধানে পর পর দুটি করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর পুনরায় একবার ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। ওই পড়ুয়া জানিয়েছে যে, টোকেন ছাড়া একবার ভ্যাক্সিন নিয়েছে। কিন্তু, শিক্ষকরা তা না শুনেই টোকেন দেওয়ার পর, আরও একবার ভ্যাক্সিন দিয়ে দেয়। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই পড়ুয়ার বাবা জানিয়েছেন, “ও ভ্যাকসিন নিয়ে বেরোনোর পর, আবার একবার ডেকে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়। স্যাররা ভেবেছিলেন ও হয়তো ভয় পাচ্ছে বলে ভ্যাকসিন নেয়নি। কারণ, প্রথমবার ওর টোকেনটি ভুল করে জমা নেয়নি। তাই টোকেন জমা নিয়ে আরও একবার ভ্যাকসিন দিয়েছে। বাড়িতে এসে বলার পরই, আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক বললেন এরকম হওয়ার কথা নয়। যদি হয়ও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তারপর, আমাকে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। রাতে খাইয়েছি।” তবে, ওই কিশোর এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানা গেছে। এখনো অবধি কোন শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেনি সে!
তবে, এই ঘটনা যে একেবারেই অনভিপ্রেত এবং কাঙ্ক্ষিত নয়, তা জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “হয়তো সেরকম কোনো শারীরিক অসুবিধা হবে না। হলেও ছোটখাটো অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এই ঘটনা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এত রকমের সচেতনতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই ঘটনা কেন ঘটবে! আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” এদিকে, ডেবরার BMOH ডাঃ আরীফ জানিয়েছেন, “খবর পাওয়ার পরই আমি স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম পাঠিয়েছিলাম খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। ছেলেটি এখন সুস্থ আছে। তবে স্কুল নিজেই এখনও নিশ্চিত নয় ওকে সত্যিই দুবার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে কিনা। যদিও ছেলেটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুবারই দেওয়া হয়েছে। আমরা ছেলেটির শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রেখেছি প্রতি মুহূর্তে। অসুস্থতা অনুভব করলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, মেদিনীপুর শহরের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রবোধ পঞ্চাধ্যয়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “এরকম ঘটনা সারা দেশে একাধিকবার ঘটেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত হলেও, বড় কোনো সমস্যা হবেনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে, ছেলেটিকে চব্বিশ ঘণ্টা নজরের মধ্যে রাখতে পারলে ভালো হয়।” যা ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তর শুরু হয়েছে।