thebengalpost.net
প্রতীকী ছবি (মেদিনীপুর শহর) :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ নভেম্বর: করোনা’র প্রকোপ সামান্য কমলেও, ‘সংক্রমণ’ এখনও রুখে দেওয়া যায়নি পুরোপুরি! বিশেষত বিভিন্ন শহর এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার বেশ ভালোই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে এখন সিংহভাগ করোনা সংক্রমিত জেলা শহর মেদিনীপুর ও রেলশহর খড়্গপুরের বাসিন্দা। গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় ২০ জন‌ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জনই খড়্গপুরের। এর মধ্যে, রেল সূত্রে ৮ জন, খড়্গপুর শহরের ৩ জন এবং গ্রামীণ এলাকার ২ জন। ৩ জন মেদিনীপুর শহরের (শরৎপল্লী, অরবিন্দ নগর, মেডিক্যাল কলেজ)। গড়বেতা ৩ নং ব্লকের সাতবাঁকুড়া’র দুর্লভগঞ্জের ২ জন এবং ঘাটাল মহকুমার ২ জন। এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে নতুন করে মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের চারটি এলাকা “মাইক্রো কনটেনমেন্ট” জোন করার নির্দেশ জারি করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) থেকে ১৫ নভেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত এই এলাকাগুলি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

thebengalpost.net
বিজ্ঞপ্তি জারি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের :

thebengalpost.net
রাজ্যের করোনা বুলেটিন :

জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই চারটি এলাকা’র মধ্যে ৩ টি মেদিনীপুর শহরের ও ১ খড়্গপুর শহরের। মেদিনীপুর শহরের ৩ টি এলাকা হল যথাক্রমে- ১. শরৎপল্লীর শরৎপল্লী মাঠ ও জল ট্যাঙ্ক কেন্দ্রিক এলাকা। ২. ধর্মা সংলগ্ন সারদাপল্লীর লালদীঘি কেন্দ্রিক এলাকা। ৩. তাঁতিগেড়িয়ার তাঁতিগেড়িয়া চক, টাউন কলোনী, বিড়লা মাঠ কেন্দ্রিক এলাকা এবং ৪. খড়্গপুর শহরের সাউথ সাইড থার্ড এভিনিউ কেন্দ্রিক কিছু এলাকা। ১১-১৫ নভেম্বর অবধি এই এলাকাগুলিতে জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে বাসিন্দাদের। এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। অন্যদিকে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৮৮ জন (সুস্থ ৭৫৯)। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। ৩৭,২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত চব্বিশ ঘণ্টায়।

thebengalpost.net
প্রতীকী ছবি (মেদিনীপুর শহর) :