দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২১ সেপ্টেম্বর: ৩০ ঘন্টা অতিক্রান্ত। আন্দোলনে অনড় কুড়মি সমাজ। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে চলছে আন্দোলন। কুড়মি-মাহাতোদের এস.টি তালিকাভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করা ও সারনা ধর্মের সরকারি কোড চালু করা- মূলত এই তিন দাবিতে ছোটনাগপুর কুড়মি মাহাত সমাজের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালীন এই অবরোধ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতভর আন্দোলন চলার পর বুধবার সকাল থেকেও খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে চলছে রেল অবরোধ-আন্দোলন চলছে ‘রেল টেকা’ (রেল অবরোধ) এবং ‘ডহর ছেঁকা’ (৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ)। ফলে প্রায় ১০ জোড়া ট্রেন ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। সড়কপথেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী। খেমাশুলিতে আন্দোলন চললেও, তার রেশ এসে পড়েছে খড়্গপুরের গুরুত্বপূর্ণ চৌরঙ্গীর মোড় থেকে শুরু করে একেবারে ডেবরা অবধি! মঙ্গলবার খড়্গপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) আন্দোলনকারী নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলেও তাঁরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে চাননি! তাঁদের দাবি, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা করতে হবে। তাই, এখনও অবধি কোনো সমাধান সূত্র বেরোয়নি বলেই জানা গেছে।
এদিকে, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে ভায়া খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম-টাটানগর বা হাওড়া-পুরুলিয়া বা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম লাইনে চলা আপ ও ডাউনের প্রায় সমস্ত ট্রেন হয় বাতিল করা হয়েছে কিংবা যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ট্রেনগুলোর মধ্যে আছে, হাওড়া-ঘাটশিলা-হাওড়া মেমু এক্সপ্রেস (বাতিল); হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (বাতিল); পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম প্যাসেঞ্জার (বাতিল); ধানবাদ ঝাড়গ্রাম এক্সপ্রেস (বাতিল); বারবিল হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (বাতিল); পুরুলিয়া হাওড়া এক্সপ্রেস (যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত/আদ্রা থেকে); আসানসোল টাটা (যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত/আদ্রা থেকে) প্রভৃতি। সবমিলিয়ে রেলপথ ও সড়কপথের যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে, দাবি আদায়ে অনড় কুড়মি সমাজ-ও। রাজ্য সরকার তাদের দাবিকে সমর্থন করলেও, এই ‘অবরোধ-আন্দোলন’ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও অবধি কোনো বার্তা আসেনি বলেই সূত্রের খবর।