মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জুলাই: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেতু হলো- মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সংযোগস্থলে কংসাবতী নদীর উপর বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সেতু (মোহনপুর ব্রিজ) এবং শিলাবতী নদীর উপর গড়বেতায় ধাদিকা ব্রিজ। দুটি ব্রিজই ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর নির্মিত। দু’টি ব্রিজই শতাব্দী প্রাচীন এবং ব্রিজের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এই দু’টি ব্রিজের ঠিক পাশেই বিকল্প সেতু নির্মাণের জন্য। এ নিয়ে সম্প্রতি জেলায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল এবং জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সড়ক ডিভিশন- ২ এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রলয় চক্রবর্তী। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
জরাজীর্ণ ও প্রাচীন সেতুগুলির বিকল্প সেতু নির্মাণের বিষয়ে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া’র পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় সড়ক ডিভিশন- ২ এর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় চক্রবর্তী সেই বৈঠকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ চৌরঙ্গী থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার রাস্তা (৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর) দুই লেন থেকে বাড়িয়ে চার লেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই রাস্তার উপর সমস্ত ব্রিজের সংস্কার করা হবে এবং সমান্তরাল আর একটি করে সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে, মোহনপুর ব্রিজ ও ধাদিকা ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে তিনি প্রস্তাব পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বেঙ্গল পোস্টের প্রতিনিধিকে ফোনে জানিয়েছেন, “৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর চৌরঙ্গী থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোটেশন চাওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। ওই রাস্তার মধ্যে যে সমস্ত ব্রিজ পড়বে সবগুলিরই বিকল্প আর একটি করে ব্রিজ তৈরি করা হবে। আর, মোহনপুর ব্রিজ ও ধাদিকা ব্রিজের বিষয়ে আজ-কালের মধ্যেই আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি।” জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষও জানিয়েছেন, “রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া এবং জেলা প্রশাসনের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রশাসনের তরফে সমস্ত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, জরাজীর্ণ মোহনপুর ব্রিজ বা বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সেতু সংস্কারের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, শুধু রঙ করা সহ সৌন্দর্যায়নের কাজ বাকি আছে।