দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ সেপ্টেম্বর: ফের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! কিন্তু, কথাতেই আছে- “চোরের সাতদিন গৃহস্থের একদিন”! তাই, ‘ভুয়ো’ আইএএস, আইপিএস- দের মতোই শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ভুয়ো শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকও। শিক্ষকতার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারতা করার অভিযোগে মাত্র ২২ বছরের সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে, তার দুই প্রতারণা-সঙ্গীও। তাদের মধ্যে একজন সন্দীপ করণ, যিনি আবার একটি স্কুলের শিক্ষক, অপরজন অশোক বর্মন, পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। এই তিন প্রতারককেই গ্রেপ্তার করে রবিবার ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) অগ্নিশ্বর চৌধুরী-র নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দাসপুরের মহম্মদপুরের বাসিন্দা সুসমন বেরার বিরুদ্ধে বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারি চাকরি (মূলত, শিক্ষকতার চাকরি) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ওই যুবকের বাড়িতে শনিবার রাতে অভিযান চালায়। তার বাড়ি থেকে ৬-টি বহুমূল্য মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ! যেগুলির বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে, একটি মোবাইল ফোনের দাম নাকি দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি! এ ছাড়াও, বড় বড় আধিকারিক ও দপ্তরের নামাঙ্কিত বেশ কিছু নকল লেটারহেড, রাবার স্টাম্পও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বছর বাইশের সুসমন পাঁশকুড়া কলেজে পড়াশুনা করত। সেখান থেকেই সন্দীপ করণ ও অশোক বর্মণের সঙ্গে তার পরিচয়। সন্দীপ তার কম্পিউটার শিক্ষক ছিল বলে জানা গেছে। ঘাটালের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করত সে। সুসমন বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক বলে পরিচয় দিত। ‘শিক্ষকতার চাকরি’ পাইয়ে দেওয়া নাকি তার কাছে জলভাত ছিল! জানা গেছে, অশোক বর্মন চাকরি প্রার্থী জোগাড় করত, আর শিক্ষক সন্দীপ করণ সকলকে বোঝাত। এভাবেই তিনজনে মিলে প্রায় সত্তর লক্ষের বেশি টাকা হাতিয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, সুসমনের জীবন যাত্রা দেখে এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। প্রতারণার খবর পৌঁছয় পুলিশের কানে। পুলিশ খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয় এবং শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করেছে সে। জেরায় সন্দীপ ও অশোকের নামও উঠে আসে। রবিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, “সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে দাসপুর থানার সাগরপুর-মহম্মদপুরের সুসমন বেরা-কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৬টি দামি মোবাইল, কিছু সরকারি আধিকারিকের নকল লেটারহেড, স্ট্যাম্প ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…