দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৪ ডিসেম্বর: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের তীব্র উৎকণ্ঠার অবসান ঘটতে পারে। আজ, বুধবার-ই সুপ্রিম কোর্টে হতে চলেছে ডিএ (DA/ Dearness Allowance) মামলার চূড়ান্ত শুনানি। এমনকি রায় দান-ও আজকেই হয়ে যেতে পারে। সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্ব থেকে আইনজীবীরা আশাবাদী, চূড়ান্ত শুনানির পর রাজ্য সরকারের আবেদন (পিটিশন) খারিজ করে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখবেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বাঙালি বিচারপতি যথাক্রমে- বিচারপতি হৃষীকেশ রায় (J. Hrishikesh Roy) এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (J. Dipankar Dutta)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেঞ্চ বদল হয়ে রাজ্য সরকারের ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা মামলা গিয়েছে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। এত দিন মামলা ছিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে। বিচারপতি মাহেশ্বরীর জায়গায় মামলা শুনবেন বিচারপতি দত্ত।
উল্লেখ্য যে, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এর আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। পরে, বম্বে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি হন। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন। অপরদিকে, বিচারপতি রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। অন্যদিকে, গত ৫ ডিসেম্বরের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিং ভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে হলে খরচ হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা! তাই, কলকাতা হাইকোর্টের ডিএ-রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্তু, সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না-দেওয়ায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য ধাক্কা খাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে এ বার মামলা শুনবে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চ। বুধবার-ই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা। আজ, রায় দান কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ উঠে আসবে বলে আশাবাদী বাংলার লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীরা।