দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২০ জুলাই: “শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কোথাও কোনও গরমিল (Disputes) থাকলে সাংবিধানিক কোর্টকে ত হস্তক্ষেপ করতেই হবে! OMR প্রকাশ করলেই তো আর চাকরি চলে যাচ্ছে না। তবে, গরমিলটা ধরা পড়বে। তারপর, প্রার্থীদের বক্তব্য শোনার পর আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবারের শুনানিতে জানিয়ে দিয়েছেন, একাদশ-দ্বাদশে চাকরি পাওয়া ৫,৫০০ জন শিক্ষক এবং প্যানেলে থাকা অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের (Wait listed candidates) সকলের ওএমআর (OMR) প্রকাশ করতে হবে আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে। সিঙ্গেল বেঞ্চ বা একক বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মূল রায় বহাল রেখে, ২১ জুলাইয়ের সময়সীমা শুধু কমিশনের আবেদন মেনে ২৮ জুলাই করেছেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য যে, ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিয়োগ পাওয়া সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ মেধা তালিকায় থাকা সকল চাকরিপ্রার্থীদের OMR প্রকাশ করতে হবে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে। প্যানেল বা মেধা তালিকায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল ববিতা সরকারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিমের। তার ভিত্তিতে রায়দান করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে সওয়াল করেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তবে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কিছু বলার থাকলে নতুন করে SLP (Special leave petition) দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই শুনানি হতে পারে আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই)। এর মধ্যেই, বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হয় কমিশনের তরফে। সেই মামলাতেই ফের একবার মুখ পুড়লো স্কুল সার্ভিস কমিশনের! ববিতা সরকারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়ালে বলেন, “কমিশন যদি স্বচ্ছ ভাবেই নিয়োগ করে, তবে OMR বা চাকরির প্রাপকদের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে এত ভয় কিসের!” এরপরই, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, OMR প্রকাশের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয় কমিশনের আবেদন মেনে। একইসঙ্গে, এও জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘বিতর্কিত’ নিয়োগের ক্ষেত্রে বা অবৈধভাবে চাকরি পাওয়াদের ‘চাকরি’ যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টে চলা এই ধরনের মামলাগুলির চূড়ান্ত নির্দেশের উপর। OMR প্রকাশিত হলেও, নিয়োগ প্রাপ্তদের বক্তব্য না শুনে, কোনভাবেই যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করে দেওয়া হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…