দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৩১ জুলাই: “অনেকে মিলে একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলছে। প্রকাশ্যে তা ঘোষণা করা হচ্ছে। অথচ, সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? তাদের কোনও ভূমিকা নেই? দু’দিন পরে কেউ যদি বলে হাইকোর্ট ঘেরাও হবে, তা হলেও কি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না পুলিশ বা প্রশাসন? কিংবা, যদি কেউ বলে কোথাও বোমা রাখা হবে!” সোমবার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম ঠিক এমন প্রশ্নই ছুঁড়ে দেন রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে। কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি! এরপরই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। দশ দিন পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গেছে আদালত সূত্রে। তার আগে, সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে, আগামী ৫ অগস্ট রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির যে ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা যে আপাতত হচ্ছে না; তা বলাই বাহুল্য!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের এই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন বিদেশে। তবে, তাঁর ডাকা এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। অভিষেক এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কেউ যদি বলেন, কাল হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? কেউ যদি কোথাও বোমা রাখার কথা বলে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না?’’
সোমবারের শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘সাংবিধানিক পদাধিকারীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না।’’ তাঁরা কী করে কিছু মানুষকে একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাও করতে বলেন, তা নিয়ে এজলাসে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এই বিষয়ে, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে এনেও প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শহীদ স্মরণ সমাবেশের জন্যও স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সে দিন আদালতের কাজ মাঝ পথে বন্ধ করতে হয়েছিল, ওই সমাবশের জন্য বহু আইনজীবী, বিচারপতি আদালতে পৌঁছতে পারেনি। যাঁরা আদালতে এসেছিলেন, তাঁদের বাড়ি ফিরতে অসুবিধা হয়েছিল।” এরপরই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ৫ অগস্টের কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সোমবার আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত এই অগণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কড়া হাতে দমন করেছেন। আগামী দিনেও সংবিধান বিরোধী যে কোনও কাজের বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। আর আশা করব আদালতের এই নির্দেশের পর পিসি-ভাইপো এই ধরনের অসংসদীয় কাজ থেকে বিরত থাকবেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…