দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, তনুপ ঘোষ, ২২ জানুয়ারি: যেন আস্ত এক লাইব্রেরী! আর, সেখানে বসেই কফির আমেজ। ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে সম্প্রতি চালু হয়েছে ‘কথা ও ক্যাফে'(কথা ও Cafe)। কফি খেতে খেতে বিভিন্ন লেখকদের বই পড়ে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়ার সুযোগ! একটু কফি, কিছু কথা আর অনেক বইপড়া- এটাই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তরুণ ব্যবসায়ী ইন্দ্রনীল মন্ডল। হ্যাঁ, সকলকে বইমুখী করার জন্য ঘাটালের যুবক ইন্দ্রনীল এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠেছে মনীষীদের ছবি। নানান ধরনের লেখা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ক্যাফের দেওয়াল। শুধু তাই নয়, ক্যাফেতে ঢুকলেই দেখা যাবে, সাজিয়ে রাখা রয়েছে একাধিক লেখকের বই। কফি খেতে আসা মানুষজন যাতে কিছুক্ষণ বই ওলট-পালট করে, বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারে, সেজন্যই এই অভিনব উদ্যোগ, জানিয়েছেন ক্যাফে-কর্ণধার।
তবে, বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুর হলেও, বইয়ের প্রতি আগ্রহ আর ক’জনের! সেজন্যই তো রবীন্দ্রনাথ বলে গিয়েছিলেন, “বিদ্যাসাগর এই বঙ্গদেশে একক ছিলেন!” স্বাভাবিকভাবেই, ঘাটালের এই কথা ও ক্যাফের কর্ণধার ইন্দ্রনীল শোনাচ্ছেন, “বইপ্রেমী কিছু মানুষ খুশি হলেও, কফি খেতে আসা অধিকাংশজন বইমুখী হচ্ছেন না!” তাঁরা আসছেন, ক্যাফের ভালো ছবি দেখে সেলফি তুলছেন, কফি খাচ্ছেন আর মোবাইল ঘেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাই, উদ্যোক্তার আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে! তবে, ইন্দ্রনীলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন মেদিনীপুর তথা ঘাটালের সচেতন নাগরিকরা। তাঁরা বলছেন, ইন্দ্রনীলের এই উদ্যোগে যদি একজন মানুষও, যৎসামান্য হলেও বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়, সেখানেই তো এই অভিনব ভাবনার স্বার্থকতা! আর, বিদ্যাসাগরের ঘাটাল দিয়ে যে উদ্যোগের সূচনা হল, আগামীদিনে তা যে জেলাশহর মেদিনীপুর, খড়্গপুর, বেলদা, দাঁতনেও ছড়িয়ে পড়বেনা, তা-ই বা কে বলতে পারে!