দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠে শুরু হল- জেলা ট্রেড ফেয়ার ও হস্ত শিল্প মেলা (District Trade Fair and Hasta Shilpa Mela)। বুধবার অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা, চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষা ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, জেলা শাসক আয়েশা রানী এ, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ। এই শিল্প মেলায় প্রায় ৭০টি স্টল রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুর বণিক সভা বা PMDCCI’র কর্তা চন্দন বসু।
শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় শিল্পে সারা দেশে উল্লেখযোগ্য স্থানে পৌঁছে গেছে বাংলা। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে সারা দেশের ১৪ শতাংশ এই বাংলার। রাজ্যের কোনো শিল্প তালুক আর ফাঁকা নেই। বিদ্যুৎ, পানীয় জল, দক্ষ শ্রমিক ও পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য একের পর এক শিল্প গড়ে উঠেছে।” মাদুর, পট চিত্র, বাসমতী চাল, রসগোল্লার মতো ২১ টি হস্ত শিল্প জি আই ট্যাগ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। এটা গর্বের বিষয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিল্পকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সংযোজন, দেউচা-পাচামিতে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা ব্লক রয়েছে। মূল প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মানবিক ভাবে স্থানীয়দের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।” কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “শিল্প সম্ভবনাময় জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। অথচ এতে রেলের কোনো ভূমিকা নেই। খড়গপুরে রেলের ওয়ার্কশপ ধুঁকছে। কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। নিয়োগ শূন্য। রেল হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার সায় দেয়নি। অথচ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে, ৪৯ শতাংশ প্রসূতি মহিলা রক্তাল্পতা রোগে ভুগছেন, ৫১ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার। রেশনে চাল গমের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অথচ ইঁদুর খাচ্ছে সেসব! কেন্দ্র মানুষকে হাতে মারছে আবার ভাতেও মারছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করে মহিলাদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করেছেন। শিল্প উৎপাদিত পণ্য কেনার সামর্থ্য করে তুলেছেন।”