দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, বীরভূম, ১০ আগস্ট: “সকালবেলা আমাকে আমার সুপার (বোলপুর মহাকুমা হাসপাতাল বা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল) ডঃ বুদ্ধদেব মুর্মু ফোন করে বলেন যে, জরুরি ব্যাপার আছে। একটু অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি যেতে হবে। হাসপাতাল থেকে যে ৪ জনের টিম যাচ্ছে, তাতে আপনাকে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমি বলেছিলাম, উনি হাসপাতালে এলে ভালো হয়। সবাই মিলে, ভালো করে চিকিৎসা করতে পারব!” তারপরেও বাধ‌্য হয়ে অনুব্রত’র বাড়ি গিয়ে তাঁকে দেখতে বাধ্য হওয়া চিকিৎসক ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী মঙ্গলবার রাতে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কোনো সরকারি কাগজ বা প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়নি। সাদা কাগজেই প্রেসক্রাইব করেছি। অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিই!” বোলপুর হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী’র তাই আক্ষেপ, “আমি জনসাধারণের চোখে হেয় হয়ে গেলাম, খুব খারাপ হয়ে গেলাম!”

thebengalpost.net
জেলা সভাপতি অনুব্রত’র বাড়িতে সরকারি চিকিৎসক দল (ডানদিকে ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী) :

হ্যাঁ, তিনি এও স্বীকার করেছেন, বোলপুরে থাকতে হয় বলেই, ‘ভয়ে’ বা ‘বাধ্য হয়ে’ তাঁকে সুপারের আদেশ পালন করতে হয়েছিল। একজন সরকারি চিকিৎসক হয়ে, সিবিআই তদন্তাধীন এক রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে গিয়ে, সাদা কাগজে ‘বেড রেস্ট’ লিখতে তাঁর মন সায় দেয়নি! তবে, তিনি তা বাধ্য হয়ে লিখেছেন। একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, ফিসচুলার একটু সমস্যা থাকলেও, অনুব্রত মণ্ডলকে মেডিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে অনায়াসে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। কোনো অসুবিধা হবে না। এরপর, আজ, বুধবার অনুব্রত কি করেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন! কারণ, সকাল ১১ টায় অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরা দেওয়ার কথা। অন্যদিকে, অনুব্রত আজ-ও ‘হাজিরা’ না দিলে, সিবিআই কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেও তাকিয়ে বাংলার লক্ষ লক্ষ জনতা!

thebengalpost.net
চন্দ্রনাথের অনুশোচনা: