দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বীরভূম ও কলকাতা, ২২ মার্চ:তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতেই কি আগুনে পুড়িয়ে মারা হল ২ শিশু, ৬ নারী সহ ১০ জনকে? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল সারা দেশ! বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat) এর এই নৃশংস কাণ্ডের তদন্তে আসছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ দল। যদিও, ইতিমধ্যে সিট (SIT- Special Investigation Team) গড়েছে রাজ্য। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ ববি হাকিম। ক্লোজ করা হয়েছে রামপুরহাটের ওসি থেকে শুরু করে SDPO কেউ। তা সত্বেও এই বর্বরোচিত ঘটনার তদন্ত করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল! এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, “ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই। বিজেপি এতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন করা হয়েছে। তা সত্বেও রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোটা অসাংবিধানিক!” অন্যদিকে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সাথে কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির পরিষদীয় দল।
উল্লেখ্য যে, এই মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা রামপুরহাটের ১ নং ব্লকের বগটুই গ্রামে। রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে জোরকদমে। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের এই এলাকা কয়েকমাস ধরেই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। আট মাসে আগে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের মেজো ভাই। জানা গিয়েছিল, রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পর সেই একই কায়দায় খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তার ঠিক পরপরই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০ মৃত্যু। যদিও, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ৭টি বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে, জানিয়েছেন ডিজিপি মনোজ মালব্য। এদিকে ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হলেও তৃণমূলের (TMC) মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাঁর বক্তব্য, উপপ্রধান ভাদু শেখের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! তবে, আজকের অগ্নিকাণ্ডে এতজনের মৃত্যু একেবারেই রাজনৈতিক নয়। আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। একই বক্তব্য জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও। তিনি শর্ট সার্কিটে বিপত্তির দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এতজনের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সিপিএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, “রামপুরহাটের ওই ওয়ার্ডে সিপিআইএম জিতেছে। বিরোধী শূন্য করতে না পেরে, তৃণমূলই এখন ‘তৃণমূল শূন্য’ করার লড়াইয়ে নেমেছে!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: "আমি যদি অযোগ্য হই...যান বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৩ এপ্রিল: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল দেশের সর্বোচ্চ…