দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: খেটে খাওয়া শ্রমিক, কৃষক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা সরকারি চাকুরিজীবীদের কাছে সমবায় ব্যাঙ্কের গুরুত্ব এখন অপরিসীম। তা সে চটজলদি ঋণের সুবিধা হোক কিংবা স্বল্পসুদে নির্ঝঞ্ঝাট ঋণের ব্যবস্থাই হোক। দুই মেদিনীপুর (পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর) বাসীর কাছে তেমনই এক সমবায় ব্যাঙ্ক হল- বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক বা বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক। সমবায় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যে ব্যাংকের উত্থান, তাদের ভাণ্ডারেই এখন ৩১০০ কোটির ‘সুরক্ষিত’ আমানত! শুধু তাই নয়, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে শ্রী বৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে এই সমবায় ব্যাংক। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের গীতাঞ্জলি মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত ৬৯ তম নিখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে এভাবেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁদের সমবায়ীদের উদ্দেশ্যে (বা, গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে) সাফল্য বার্তা ছড়িয়েছেন। একইসঙ্গে সমবায়কে আরও অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বার্তা তুলে ধরেছেন। ব্যাংকের এই সাফল্যে খুশি সমবায়ীরাও।

thebengalpost.net
সমবায় সপ্তাহ উদযাপনের অনুষ্ঠানে:

৬৯ তম সমবায় সপ্তাহ উদযাপনের এই মঞ্চ থেকেই বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের গ্রাহক তথা সমবায়ীদের আরও একটি সুখবর দিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। খুব শীঘ্রই বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের তরফেও মোবাইল ব্যাঙ্কিং ও নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, ব্যাংকের নিজস্ব আইএফএসসি কোড (IFSC CODE)ও দ্রুত চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, এদিনের এই অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থেকে ব্যাংক পরিচালন সমিতিকে আরও উৎসাহিত করার সাথে সাথে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ‘নাবার্ড’ (National Bank for Agriculture and Rural Development) এর সিজিএম ঊষা রমেশ। মূলত এদিন একটি প্রাসঙ্গিক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ছিল, বাণিজ্যিক উন্নয়ন ও সশক্তিকরণে সরকারি-বেসরকারি ও সমবায়ের মেলবন্ধন। স্বাভাবিকভাবেই, এদিনের আলোচনা সভা থেকে সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বেসরকারি বা প্রাইভেট ব্যাঙ্কের সাথে সাথেই সমবায় ব্যাঙ্কের গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা হয়। ব্যাঙ্কের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রদীপ পাত্র, জেনারেল ম্যানেজার মহঃ ইদ্রিশ আলি গাজী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ মহাপাত্র (সরকার মনোনীত ডাইরেক্টর), দীনেশ প্রধান (অন্যতম ডাইরেক্টর), জয়ন্ত সামন্ত (অন্যতম ডাইরেক্টর) ছাড়াও অন্যান্য ডাইরেক্টর তথা পরিচালক মণ্ডলীর সদস্যরা। ছিলেন বিশিষ্ট সমবায়ী তথা শাসকদলের জেলা সভাপতি (মেদিনীপুর) সুজয় হাজরাও। তবে, ডাক পেয়েও প্রত্যাশামতোই উপস্থিত ছিলেন না ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা অন্যতম ডাইরেক্টর শুভেন্দু অধিকারী!

thebengalpost.net
বক্তব্য রাখছেন নাবার্ডের আধিকারিক ঊষা রমেশ: