দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পিংলা কলেজ (পিংলা থানা মহাবিদ্যালয়) এর বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন অধ্যাপক হরেকৃষ্ণ খাটুয়া। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন তিনি। প্রয়াত অধ্যাপকের ইচ্ছে ছিল, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বাবা-মা’র স্মৃতিতে বাংলা বিভাগের কৃতি পড়ুয়াদের জন্য চালু করা হোক একটি মেধা পুরস্কার। কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক (UG) ও স্নাতকোত্তর (PG) এর সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক পড়ুয়া’র হাতে প্রতি বছর এই পুরস্কার তুলে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে গিয়েছিলেন তিনি। প্রয়াত অধ্যাপক হরেকৃষ্ণ খাটুয়া’র সেই ইচ্ছে পূরণ করলেন তাঁর স্ত্রী এবং সুযোগ্য কন্যা ও জামাতা। শনিবার তাঁরা কলেজে গিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুকুমার চন্দ্রের হাতে এই মেধা পুরস্কারের জন্য এককালীন ১ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে তুলে দিয়েছেন। শনিবার কলেজে গিয়েছিলেন প্রয়াত অধ্যাপকের স্ত্রী সবিতা খাটুয়া, কন্যা সায়ন্তনী জানা এবং জামাতা ড. সেবক জানা। তাঁরাই কলেজের অধ্যক্ষের হাতে ১ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দিয়েছেন।

thebengalpost.net
অধ্যক্ষের হাতে ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন সায়ন্তনী জানা:

উল্লেখ্য যে, ড. সেবক জানা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী তথা প্রয়াত হরেকৃষ্ণ খাটুয়া’র মেয়ে সায়ন্তনী জানা’র উদ্যোগে এবং সবিতা দেবী’র উৎসাহে এই অর্থ তুলে দেওয়া হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ তথা অধ্যক্ষের হাতে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই মেধা পুরস্কার কৃতী পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ড. সুকুমার চন্দ্র। পুরস্কারের নাম হবে- ‘সুহাসিনী খাটুয়া তিতারাম খাটুয়া মোমোরিয়াল পুরস্কার’। বলাই বাহুল্য, সুহাসিনী দেবী এবং তিতারাম খাটুয়া যথাক্রমে প্রয়াত অধ্যাপক হরেকৃষ্ণ খাটুয়া’র মা ও বাবা। এই এককালীন অর্থ থেকে প্রতি বছর কলেজের UG ও PG কোর্সের বাংলা বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের হাতে বৃত্তি বা পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুকুমার চন্দ্র। তিনি এও জানান, “কলেজে এই ধরনের বেশকিছু স্মৃতি পুরস্কার অনেক বিভাগেই চালু আছে। কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেই। এবার থেকে ‘সুহাসীনি খাটুয়া ও তিতারাম খাটুয়া মেমোরিয়াল পুরস্কার’ কলেজের ইতিহাসে নতুন সংযোজন, যা বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের আরোও উদ্বুদ্ধ করবে।” (তথ্য ও ছবি: সব্যসাচী গুছাইত, পিংলা।)