thebengalpost.net
রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মু'র সঙ্গে পুরস্কৃত ছাত্র-ছাত্রীরা :

শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ এপ্রিল: শুধু মেদিনীপুর (অবিভক্ত মেদিনীপুর) নয়, গোটা বাংলাকে গর্বিত করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকে অবস্থিত জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনের মেধাবী ছাত্রী শুভ্রা সিংহ। সারা দেশের তিন কোটি স্কুল পড়ুয়ার মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ২৯ জনকে। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আহ্বান জানিয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ‘টাটা বিল্ডিং ইন্ডিয়া স্কুল এসে কম্পিটিশন ২০২৩’ (Tata Building India School Essay Competition 2023) তথা জাতীয় স্তরের এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় এবার তিন কোটি পড়ুয়া (স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী) অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্য থেকেই ‘সেরা ২৯’ বেছে নেওয়া হয়। আর, তাতেই জায়গা পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শুভ্রা। বলা ভালো, শুভ্রা’র লেখা প্রবন্ধটি সেরা ২৯-টি প্রবন্ধের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

thebengalpost.net
পুরস্কৃত শুভ্রা :

আর, এই খবর পিংলা তথা পশ্চিম মেদিনীপুরে ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে! উল্লেখ্য যে, পিংলা ব্লকের নামকরা স্কুল জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তন থেকে এবারই উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান বিভাগে) পরীক্ষা দিয়েছে শুভ্রা। বাড়ি সবংয়ের দক্ষিণবাড় এলাকায়। বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান শুভ্রা। তার লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকেও, নিজের ভালোবাসার জায়গা ‘লেখালেখি’‌ নিয়েও বরাবর চর্চা করে এসেছে সে। সেই ভালোবাসা বা নেশার জায়গা থেকেই, ‘Tata Building India School Essay Competition’ এ অংশ নিয়েছিল শুভ্রা। যেখানে দেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় বা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কোনো সামাজিক বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে হয়েছিল স্কুল পড়ুয়াদের। আর, তাতেই শুভ্রা’র লেখা প্রবন্ধটি সেরা প্রবন্ধের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দেশের প্রায় তিন কোটি ছাত্র-ছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্য থেকেই ২৯ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি ভবনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

স্বয়ং রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু পুরস্কার তুলে দেন বিজয়ী কিংবা বিজয়িনীদের হাতে। তিনি বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তা বোধ গড়ে তুলতে কিংবা চেতনা ও ধ্যান ধারণার প্রসার ঘটাতে এই ধরনের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আমি বিশ্বাস করি, দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন এই উজ্জ্বল নক্ষত্ররা জাতীয় ক্ষেত্রে কিংবা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, পিংলা ব্লকের জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তন জেলার অন্যতম সেরা একটি স্কুল। ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এই স্কুলের ২১ জন জায়গা করে নিয়েছিল। এবারও ফলাফল ভালো হবে বলে আশাবাদী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী শুভ্রা উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফলাফল করবে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ও। ভবিষ্যতে ওর আরো সাফল্য কামনা করি। প্রার্থনা করি ওর সব স্বপ্ন পূরণ হোক।” কথা বলার সুযোগ হয়নি শুভ্রা’র সঙ্গে। তবে, তার বাবা সুবল চন্দ্র সিংহ ফোনে জানিয়েছেন, “মেয়ের ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে সমাজের জন্য কিছু করার।” পিংলা,‌ সবং তথা আপামর মেদিনীপুরবাসীও চাইছেন, স্বপ্ন পূরণ হোক শুভ্রা’র!

thebengalpost.net
রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মু’র সঙ্গে পুরস্কৃত ছাত্র-ছাত্রীরা :