দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ আগস্ট: সবংয়ের “মাদুর শিল্প” বাংলা তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঐতিহ্য ও গর্ব। এবার সেই মাদুর শিল্পের হাত ধরেই জেলায় আসতে চলেছে জোড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন দুই গৌরী! একজন গৌরীবালা জানা এবং অন্যজন গৌরী দাস। দু’জনই আদতে সবং থানার অন্তর্গত ৫ নম্বর সার্তা গ্রামের বাসিন্দা। তবে, যোগাযোগের সুবিধার জন্য গৌরীবালা জানা এখন থাকেন বালিচকে। উল্লেখ্য যে, গৌরী দাসের হাতে বোনা নক্সা মাদুরটির ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম! আর, গৌরীবালা জানা তাঁর নিপুণ বুননে তুলে ধরেছেন সীতা হরণের পালা। শুক্রবার, দুই গোরী-কেই সম্মান জানালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন, খড়্গপুরের মহকুমা শাসক আজমল হোসেন, সি আই কৃষ্ণেন্দু হোতা, সবং থানার ওসি সুব্রত বিশ্বাস এবং বিডিও তুহিন শুভ্র মোহান্তি।
সবংয়ের ভূমিপুত্র মানস ভুঁইয়া তাঁর বক্তৃতায় সবং এবং সবংয়ের বিখ্যাত মাদুর শিল্প নিয়ে বহু স্মৃতি উন্মোচন করেন। জেলার গর্ব এই শিল্প-কে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করার জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এখানে মাদুর হাবের কাজ চলছে। প্রতিবছর সবং থেকে ৬০০-৬৫০ কোটি টাকার মাদুর ব্যবসা হয়। একসময় আমি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাতে সবংয়ের মাদুর তুলে দিয়ে একদিনে ১০ টি ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়ে এসেছিলাম।” এরপর, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার বিজয়িনী দুই শিল্পী -কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের শাড়ি, ফুল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ছবি, মিষ্টি ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও সবংয়ের পুষ্প রাণি জানা, অলোক জানা-র মতো মাদুর শিল্পীরা রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন।