দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জানুয়ারি: নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক ছিনতাইবাজকে পাকড়াও করল খড়্গপুরের যুবক বি. স্যামুয়েল। খড়্গপুর টাউন থানা ও জেলা পুলিশের তরফে তাই শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হল। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত্রি সাড়ে ন’টা নাগাদ অবিনাশ শঙ্কর নামে এক জোম্যাটো ডেলিভারি বয়ের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালায় স্কুটিতে থাকা তিন ছিনতাইবাজ। গোলবাজার ওভারব্রিজের উপর এই ঘটনাটি ঘটে! ভেঙে পড়েন ওই যুবক। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন অনলাইনে ব্যবসা করা খড়্গপুর শহরেরই আরেক যুবক বি. স্যামুয়েল। ওই জোম্যাটো ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে শোনার পরই, স্যামুয়েল ওই ছিনতাইবাজদের বাইক নিয়ে তাড়া করেন। খরিদা পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি এলাকায় একটি সাইকেলে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় ওই ছিনতাইবাজরা। তৎক্ষণাৎ দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়! তবে, স্কুটির চালক মাত্র ১৬ বছরের বি. অখিল ধরা পড়ে যায়। তাকে খরিদা ফাঁড়ি আটক করে এবং স্যামুয়েলকে বাহবা দেওয়া হয়। যদিও মোবাইল উদ্ধার তখনই সম্ভব হয়নি।
এরপর, শনিবার বি. অখিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোবাইল উদ্ধার করা হয়। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্য দুই ছিনতাইবাজকেও খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে। জানা গেছে, ১৬ বছর বয়সী বি. অখিল অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা। একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। সম্প্রতি, স্কুল ছুটি থাকায় খড়্গপুরে এসেছে। তার মধ্যেই অন্য দুই দুষ্কৃতীর পাল্লায় পড়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হয়ে গেছে। অন্যদিকে, খড়্গপুরের গোলবাজার এলাকার তরুণ স্যামুয়েল উচ্চ শিক্ষিত যুবক। নিজেই অনলাইনে কেকের ব্যবসা করেন। তাই, ওই অসহায় ডেলিভারি বয়ের কষ্ট উপলব্ধি করে মোবাইল উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন! আর, তাঁর এই সাহসিকতার জন্য যুবককে পুরস্কার প্রদান করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর টাউন থানায় স্যামুয়েল নামের ওই যুবককে পুরস্কৃত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখার্জি ও খড়্গপুর টাউন থানার আইসি বিশ্বরঞ্জন ব্যানার্জি।