দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ মার্চ: দেনেওয়ালা জব ভি দেতা, দেতা ছপ্পর ফড়কে! মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে লটারি (Lottery) কেটে কোটিপতি (Millionaire) হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই ব্যক্তি। পেশায় একজন দিনমজুর, অন্যজন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সচিব। দু’জনেরই ‘নেশা’ অবশ্য এক! সারাদিনের কাজ কর্মের মাঝে টুকটাক লটারির টিকিট কাটা। আর, তাতেই একেবারে মালামাল! রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি। এখনও তাঁরা ভেবে উঠতে পারছেন না, কী করবেন এত টাকা দিয়ে। ঘটনা দু’টি যথাক্রমে জেলার পিংলা ও কেশপুর ব্লকের। পেশায় দিনমজুর রতন শীটের বাড়ি পিংলা ব্লকের জামনা এলাকায়। অন্যদিকে, পেশায় কেশপুর ব্লকের মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব স্বপন পন্ডিতের বাড়ি ঘাটালের মহারাজপুরে। দুই এলাকাতেই এখন খুশির হাওয়া (বলা ভালো, টাকার হাওয়া)!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় দিনমজুর পিংলা ব্লকের জামনার রতন শীট বাজারে চা খেতে যাওয়া-আসার মধ্যে টিকিট কাটতেন। চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত্রি ৮ টা নাগাদ মাত্র ৬ টাকার লটারি টিকিট কেটেছিলেন। আর, সেই লটারিতেই ভাগ্য খুলে গেলো! রাতারাতি কোটিপতি হলেন পিংলার দিনমজুর রতন। জানা যায়, জামনা বাজারে মোনালিসা লটারি কাউন্টার থেকে লটারি কেটে ছিলেন রতন। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ অবশ্য তাঁর বাড়িতে পৌঁছতে দেখা যায় বাড়ির দরজা বন্ধ! প্রতিবেশীরা জানান, কোন আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছেন। এত টাকার আতঙ্কে কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি!
অন্যদিকে, কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত ৫ নং মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব স্বপন পন্ডিতও জিতেছেন ১ কোটি টাকা। শনিবার (১৮ মার্চ) ৬০ টাকার টিকিট কেটে তিনি কোটিপতি হয়েছেন! কিন্তু, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, তা-ই ভেবে উঠতে পারছেন না সচিব মশায়। জানা যায়, ঘাটালের মহারাজপুরে তাঁর বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে কেশপুর ব্লকের মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পদে রয়েছেন তিনি। ভাগ্য পরীক্ষা করতে অবশ্যই প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন স্বপন বাবু। স্বপন পন্ডিত বলেন, ‘‘গত ৩-৪ বছর ধরে এলাকার একটি নির্দিষ্ট দোকান অর্থাৎ আমার ভাইপো শুভদীপ পন্ডিতের কাছ থেকে লটারির টিকিট কিনছি।’’ তিনি জানান, এর আগে বড় পুরস্কার বলতে ৪৫০০০ টাকা পেয়েছিলেন। শনিবার যখন ওই লটারি দোকান থেকে অর্থাৎ তাঁর ভাইপো ফোন করে জানান যে, তিনি কোটি টাকা জিতেছেন; বিশ্বাসই করতে পারেন নি! তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো মজা করছেন ভাইপো শুভদীপ। বাড়ির বাকি সদস্যদেরও বলেছিলেন ব্যাপারটা। তাঁদের অবস্থাও একই। প্রথমে সবাই বলেছিলেন, ‘হতে পারে না!’ কিন্তু, হয়েছে। টিকিটের নম্বর মিলিয়ে অবশ্য স্বপন বাবু দেখেন, ‘হয়েছে!’ কোটিপতি হয়েছেন তিনি। সচিব স্বপন পন্ডিত বলেন, ‘‘ওই টাকা দিয়ে কী করব, ঠিক করতে পারিনি এখনও! তবে, আমি যেহেতু প্রশাসনিক পদে চাকরি করি, তাই প্রশাসনের মাধ্যমে কিছু সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য কিছু টাকা দেব ভেবেছি। বাকি টাকা অবশ্যই পারিবারিক কাজে লাগাব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…