দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জুলাই: গত প্রায় মাস খানেক ধরে এটিএম (ATM) এজেন্সি কর্তৃপক্ষ টাকার হিসেব পাচ্ছিলেন না! এটিএমে টাকা ঢোকানোর পরই টাকা উধাও। গত ১ মাসে এভাবে প্রায় ১ কোটি ২১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার হিসেবে গরমিল দেখা যায়! মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন এটিএমে টাকা ঢোকানোর দায়িত্বে থাকা ওই ব্যাঙ্ক এজেন্সি কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত কোনভাবেই টাকার হিসেব মেলাতে না পারায়, কোতয়ালী থানার দ্বারস্থ হয়। তদন্ত নেমে মেদিনীপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ আবিষ্কার করে, ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ লুকিয়ে আছে! এটিএম এজেন্সি কর্মীরাই টাকা ঢোকানোর সময় টাকা উধাও করে দিচ্ছেন। সোমবার মেদিনীপুর শহর থেকে ২ জন ও কেশপুর থেকে ১ জন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই তিন কর্মীই এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত, এই অভিযোগে মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারপতি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাঙ্ক এজেন্সি’র ৩ কর্মীই এই এটিএম (ATM) জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত, নাকি আরও বড় গ্যাং আছে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সেজন্যই তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাংকের এটিএমে টাকা ঢোকানোর সময়ই বা কিছুক্ষণের মধ্যেই এজেন্সির কর্মীরা টাকা সরিয়ে ফেলতো। ফলে গরমিল দেখা যায় এক মাস ধরে। এক মাসে এভাবেই সাফ হয়ে গিয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজার। এরপর, সেই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ATM কর্তৃপক্ষ দ্বারস্থ হয় কোতোয়ালী থানার। এরপর, কোতওয়ালী পুলিশ কেশপুর ও মেদিনীপুরের আবাস এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে সুদীপ ঘোষ ও শুভদীপ কুলোভি নামে এজেন্সির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরে অভিযান চালিয়ে মেদিনীপুর শহরের জুগনুতলা থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের প্রত্যেকের বয়সই ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে! মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হয়। মেদিনীপুর CJM আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হলেও, আদালত ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে।