দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জুলাই: রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ভুয়ো আধার-চক্র। অভিযোগ যে, অনুমোদন ছাড়াই তারা চালিয়ে যাচ্ছে মোটা অর্থের বিনিময়ে পরিষেবা দেওয়ার কাজ। আদৌও সেই সমস্ত আধার কার্ড বৈধ বা সঠিক কিনা তা বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের লোকজন! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশেও চলছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজ। রীতিমতো শিবির করে চলছে এই ধরনের কাজ। শনিবার সকালে নারায়ণগড় থানার কাশীপুরের মেটালে তিন যুবক কম্পিউটার, ক্যামেরা প্রভৃতি নিয়ে এই শিবির করে বসেছিলেন। ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। কিছু মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন! এরপরই জটলা থেকে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা পৌঁছলে, ওই তিন ব্যক্তি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে! ২ জন পালিয়ে যেতে পারলেও একজনকে আটক করে নিয়ে আসে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, অতিমারীর কারণে এই মুহূর্তে রাজ্যে সরকারিভাবে বা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আধার (Aadhaar Card) কার্ড তৈরি বা সংশোধনের কাজ বন্ধ আছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন কাজে আধার কার্ডের প্রয়োজনও হচ্ছে। তাই, বাধ্য হয়েই সাধারণ মানুষ এই ভুয়ো-চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন! মোটা টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড করাচ্ছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যারা এই কাজ করছেন তারা অন্য রাজ্যের লাইসেন্স ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে এই কাজ চালাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের তরফে কাউকেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই, নারায়ণগড়ের ঘটনায় আটক হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদেরও খোঁজ চালানো হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, আটক হওয়া ব্যক্তি সাফাই দিয়েছেন, “সরকার বিনা পয়সায় পরিষেবা দিচ্ছেনা বলেই তো সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে আসছেন। সরকার পরিষেবা দিলেই তো ঝামেলা মিটে যায়। আমাদেরকেও উপর মহলে টাকা দিতে হচ্ছে, তাই ৫০০ টাকা করে নিচ্ছি!”