দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ জানুয়ারি: প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক চাপেশ্বর সর্দার-কে গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার (Secondary) ডিআই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (DI/S) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তারপর অবসর গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি/মাধ্যমিক) ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে বদলি হওয়ার আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি নিজের ‘হোম ডিস্ট্রিক্ট’ পূর্ব মেদিনীপুরের ডি.আই ছিলেন বলে জানা যায়। আর, ওই জেলাতেই বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিজের বাড়ি (পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে তমলুক খামারচক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া-কেও। উল্লেখ্য যে, তমলুক খামারচক হাইস্কুলে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের ভিত্তিতে তথা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষকের ভাইপো শুভেন্দু হাটুয়া-কে নিয়োগ করার অভিযোগেই তাঁদের দু’জনকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা যায়, তমলুক খামারচক হাইস্কুলে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের মাধ্যমে ২০১৭ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে শুভেন্দু হাটুয়া-কে নিয়োগ করা হয়েছিল। শুভেন্দু সম্পর্কে ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া-র ভাইপো। এরপর এই নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে তমলুক থানায় FIR দায়ের করেন বর্তমান ডি.আই শুভাশিস মিত্র এবং সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডি (CID)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। তারপর, বুধবার রাতে তাঁকে এবং জেলার তৎকালীন ডি. আই চাপেশ্বর সর্দারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত এও উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভীমপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলেও বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তদন্ত চালাচ্ছে শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট। সেই মামলাতেও অন্যতম অভিযুক্ত চাপেশ্বর সর্দার! এছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডি.আই থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ আছে।