দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুলাই: ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী’কে সালিশি সভায় হাজির করা হয়েছিল! তারপরই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত আপাতত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে ঘটে যাওয়া শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা শুক্রবারই কেশপুরে গিয়েছিলেন, ঘরছাড়া ও অত্যাচারিত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিযোগ শোনার জন্য। তাঁদের ঘুরে যাওয়ার পরই ফের আক্রান্ত হন এক বিজেপি কর্মী। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির তরফে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজই মেদিনীপুরে জানিয়েছিলেন, “ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা কিছু কিছু ঘরে ফিরছেন। তারপরও তাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেশপুরের ঘটনা তারই প্রমাণ।” তিনি এও জানান, “এখনও কেশপুরের হাজার খানেক বিজেপি কর্মী বাড়ি ফিরতে পারেনি।”

thebengalpost.in
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন সাইদুল :

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ঘড়ছাড়া থাকার পর বাড়ি ফিরতেই শুক্রবার রাতে রীতিমতো সালিশি সভায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমানকে। নির্ধারিত জরিমানা না দেওয়াতেই মারধর বলে অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরে মাথা ফাটে বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমানের। মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কেশপুর গ্রামীন হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই গ্রামছাড়া ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেশপুর থানার অন্তর্গত মনতলা গ্রামে নিজের বাড়ি ফেরেন সাইদুল। এর পরেই শুক্রবার রাতে তৃণমূলের তরফে শালিশী সভায় ডেকে জরিমানা আদায়ের চেস্টা করে ওই বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে। বিজেপি কর্মী জরিমানা না দেওয়াতেই এমন আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। কেশপুরের বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, “বিজেপি করার অপরাধে কেশপুরে ধারাবাহিকভাবে অত্যাচার চলছে। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরার পরও ছাড়া হচ্ছেনা। সাইদুলের মাথয় ৮ টা স্টিচ পড়েছে, মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাত পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে তৃণমূল এইসব করছে। সবকিছুরই শেষ আছে, তৃণমূল ভুলে যাচ্ছে!” অপরদিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, “এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”