দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জানুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুরে এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক গ্রামীণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে! বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ‘গুণধর’ ওই চিকিৎসক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার ৬ নং চাউলকুঁড়ি অঞ্চলের একটি এলাকায় (নাবালিকার সামাজিক সুরক্ষার স্বার্থে গ্রামের নাম দেওয়া হলনা)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই চিকিৎসকের নাম হরেকৃষ্ণ মান্না। এই বিষয়ে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক মানছেন যে, “অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হবে।”
জানা গিয়েছে, সবংয়ের ওই এলাকায় নির্যাতিতা নাবালিকার দাদু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন। সেই সূত্রে চিকিৎসক হরেকৃষ্ণ মান্নার যাতায়াত ছিল তাদের বাড়িতে। শনিবার সকালেও ওই গ্রামীণ চিকিৎসক যান নাবালিকার বাড়িতে। সেই সময় নাবালিকা মেয়েটি ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না! সেই সুযোগেই বাড়িতে ঢুকে নাবালিকার সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’ করেন গ্রামীণ ওই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। এরপর, ভয়ে মেয়েটি চিৎকার করলে, তাকে রীতিমতো শাসানো হয় বলেও অভিযোগ। ‘কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না’ হুমকি দিয়ে ওই চিকিৎসক চলে যায়! কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য জানাজানি হয়। বাড়িতে সকলে ফিরলে, নাবালিকা সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এরপরই, পরিবারের তরফে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করায় পরিবারের সদস্যরা হতবাক! সারা সবংবাসী অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে অনড়।