দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পুরুলিয়া, ২৫ ডিসেম্বর: কিছুতেই বাগে আসছেনা বাঘিনী জিনাত (Tigress Zinat)। বড়দিনেও (২৫ ডিসেম্বর) বহাল তবিয়তেই সে বিচরণ করছে পুরুলিয়ার (বান্দোয়ানের) রাইকা পাহাড় সংলগ্ন জঙ্গলে। টোপের ছাগল, মহিষেও রুচি নেই তার। সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে রাইকার জঙ্গলে বসানো তিন তিনটি খাঁচা বা তার মধ্যে থাকা টোপ। বরং, একের পর এক গবাদি পশু সাবাড় করাতেই তার বেশি উৎসাহ! গ্রাম থেকে ছাগল টেনে নিয়ে যাওয়া কিংবা জঙ্গলে চরতে যাওয়া ছাগল উদরস্থ করা- জিনাতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনছেন বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড় লাগোয়া রাহামদা গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ, মঙ্গলবার তিনি জঙ্গলে ছাগল নিয়ে (চরাতে) গিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি ছাগল নিখোঁজ হয়ে যায়। রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় একটি ছাগল।
এদিকে, বাঘিনীর হাত থেকে গ্রামকে রক্ষা করতে সুন্দরবনের ধাঁচে ‘নাইলন ফেন্সিং’ দেওয়া হয়েছে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের বাইরে। যদিও, জিনাতের গলায় জিপিএস যুক্ত রেডিও কলার দেওয়া আছে; তা সত্ত্বেও জিনাতকে খাঁচায় পুরতে জঙ্গলে অত্যাধুনিক ছ’টি স্মার্ট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে জিনাতের প্রতিমুহূর্তের গতিবিধি দ্রুত বনদপ্তরের হাতে এসে পৌঁছয়; সেজন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ড থেকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির হয়ে শনিবার রাতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এসে পৌঁছেছে বাঘিনী জিনাত। তারপর থেকে প্রায় চার দিন হয়ে গেলেও বাগে আনা যায়নি সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনীকে! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলেই ধরা পড়েছে জিনাতের গতিবিধি। তবে, এরপর সে কোন পথে পাড়ি দেয়, সেদিকে কড়া নজর রেখেছে বনদপ্তর।