দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ নভেম্বর:’শব্দবাজি’ তে মারাত্মক জখম কুকুরটির প্রাণ রক্ষার্থে এগিয়ে এল, পশুপ্রেমী জাতীয় স্তরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা People for Animals(PFA)। যে সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধী (Maneka Gandhi)। রবিবার এই সংস্থার হুগলি শাখার সভাপতি সহ একটি দল পৌঁছেছিল খড়্গপুর শহরে। খড়্গপুরে যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুকুরটিকে উদ্ধার করেছিল, সেই স্ট্রিট পজ সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন ‘পিউপিল ফর অ্যানিমেলস’ এর সদস্যরা। কুকুরটিকে পর্যবেক্ষণ করার পর তাঁরা জানান, শুধুমাত্র ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকের দ্বারা কুকুর-টিকে বাঁচানো সম্ভব নয়, অবিলম্বে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাই, কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন।

thebengalpost.net
আয়ুশি দে’র নেতৃত্বে আহত কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হল কলকাতায় :

উল্লেখ্য যে, কালীপুজোর রাতে শব্দবাজি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় কুকুরটির পা ও লেজ। ক্ষতবিক্ষত হয় সারা শরীর! বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যে। অন্যদিকে, কুকুরটিকে বাঁচানোর তাগিদ নিয়ে, জাতীয় স্তরের পশুপ্রেমী সংগঠন ‘পিউপিল ফর অ্যানিম্যালস’ এর সদস্যরা রবিবার পৌঁছে যান খড়্গপুর শহরে। সংগঠনের হুগলি শাখার সভাপতি আয়ুশি দে বলেন, অবিলম্বে অস্ত্রোপচার না হলে দু’দিনের মধ্যে কুকুরটির প্রাণহানি হতে পারে! কুকুরটির চিকিৎসা করে, সাত দিনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। জেলা পুলিশের নির্দেশে, খড়্গপুর টাউন থানার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ার পর তাঁরা কুকুর-টিকে নিয়ে যান! আয়ুশি বলেন, “এই সমাজে রক্ষক যেমন আছে, তেমনই ভক্ষকরাও আছে। কুকুরটির সাথে যারা এরকম করেছে, তারা ভক্ষক, আর যারা এতদিন ধরে কুকুরটির চিকিৎসা করেছে, বাঁচিয়ে রেখেছে তারা রক্ষক।”
***’নিষিদ্ধ শব্দবাজি’ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল অবলা প্রাণীর পা ও লেজ….