দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ এপ্রিল:কবি বলেছিলেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে!’ সেই বন্য প্রাণীদের আক্রমণ, হত্যা, শিকার- শুধু অরণ্য জীবনকেই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত করে সমগ্র পরিবেশ তথা এই পৃথিবীর। এই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চাইছে বনদপ্তর। আবেদন-নিবেদনের পর ‘দণ্ডনীয় অপরাধ’ রূপে এবার শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হল, পশ্চিম মেদিনীপুর বন বিভাগ এবং জেলা পুলিশের তরফে। আর সেই শাস্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হলো জেলা শহর মেদিনীপুরের বাস স্ট্যান্ড, স্টেশন থেকে শুরু করে সর্বত্র। শুধু তাই নয়, জেল ও জরিমানা ছাড়াও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে বাহন নিয়ে শিকার করতে বেরোবেন শিকারিরা, তাও আটক করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্চ-এপ্রিলে বা চৈত্র-বৈশাখে শিকারীরা শিকারে বেরোন বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু, বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে এই শিকার বা বন্যপ্রাণ ও বন্যপ্রাণী হত্যা গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় বারবার নিষেধ করা হচ্ছে শিকারীদের। তা সত্বেও লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে শিকার। এবার, তাই আরও কঠোর হচ্ছে বনদপ্তর। সঙ্গে জেলা পুলিশ। শনিবার ও রবিবার তাই জেলা শহর মেদিনীপুরের সর্বত্র, বিশেষত বাস স্ট্যান্ড স্টেশনের মতো জায়গাগুলিতে ব্যানার দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “বন্যপ্রাণী শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। জঙ্গলের পশুপাখিদের স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে দিন। এদের উপর অত্যাচার করবেন না।” সাধারণ মানুষ তথা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই বিষয়ে বনদপ্তর ও জেলা পুলিশকে সহায়তা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভাদুতলা বনাঞ্চলের রেঞ্জ অফিসার পাপন মোহান্ত জানিয়েছেন, “বন বিভাগ ও জেলা পুলিশের এই বার্তা তখনই সাফল্যমন্ডিত হবে, যখন সমাজের প্রতিটি মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে, পরিবেশ তথা সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে, বন্যপ্রাণ ও বন্যপ্রাণীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাস্তুতন্ত্রের স্বার্থে বন্য প্রাণী হত্যা বা শিকার থেকে বিরত থাকতে হবে সকলকে। নাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।”