দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: প্রায় ঘন্টা চারেকের প্রচেষ্টায় কুঁয়ো থেকে উদ্ধার করা হলো পূর্ণবয়স্ক হাতিটিকে। সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ মেদিনীপুর বনবিভাগের লালগড় রেঞ্জ ও পিড়াকাটা রেঞ্জের তরফে হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়। শালবনী ব্লকের (তবে, লালগড় রেঞ্জের অধীন), পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ির অধীন পাটাঝরিয়া এলাকায়, মাঠের মাঝে একটি পরিত্যক্ত কুঁয়ো (বা, ইন্দারা) থেকে হাতটিকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের মতে, ভোররাতে হাতটি কুঁয়োয় পড়ে গিয়েছিল। তবে, তাঁরা ক্ষুব্ধ, ভোর চারটা থেকে বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলেও, সকাল আটটা থেকে উদ্ধারকার্য শুরু হয়! হাতিটিকে উদ্ধার করার পরই তাই তাঁরা বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তবে, এই মুহূর্তে হাতিটি সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় জঙ্গলে প্রবেশ করেছে বলে বনদপ্তর জানা গেছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা মজা করে জানিয়েছেন, ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র রাতে আরেকটি হাতির সাথে খুনসুটি করার সময়, পাটাঝরিয়া এলাকার ওই পরিত্যক্ত কুঁয়োটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় হাতিটি! আরেক পক্ষ জানিয়েছে, সেই সময় বনদপ্তরের তরফে ড্রাইভ (হাতি তাড়ানোর প্রক্রিয়া) চলছিল। তাতেই হয়তো অন্ধকারে বুঝতে না পেরে হাতে কুঁয়োয় পড়ে যায় হাতিটি। তবে, অনেক দেরিতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসায় এলাকাবাসীর চরম ক্ষুব্ধ! মেদিনীপুর বনবিভাগের তরফে জানা গেছে, পরিস্থিতি বুঝে জেসিবি মেশিন আনা হয়েছিল। তাই, কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। হাতিটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও, তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায়। বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা ছাড়াও পশুপ্রেমী রাকেশ সিংহ দেব সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এলাকায়। উৎসাহী জনতার ভিড় ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে, বিভিন্ন কারণে (হাতির মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ সহ নানা কারণে) বনদপ্তর এর উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ থাকায়, কিছুক্ষণ আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে অবশ্য পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভ উঠে যায়। (ছবি- রাকেশ সিংহ দেব)