দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ ডিসেম্বর: প্রায় ৮ ঘন্টা পর কেশিয়াড়িতে হাতির হামলায় মৃত ছাত্রের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ ও বনদপ্তর! শনিবার রাত্রি ১১টা নাগাদ খড়্গপুর ডিভিশনের অধীন কেশিয়াড়ি ব্লকের হাতিগেড়িয়ার জঙ্গল থেকে দেবপ্রিয় মাহাত (পাঁচু) নামে বছর ১৫-র ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনদপ্তর। উল্লেখ্য যে, শনিবার বিকেল ৩টা নাগাদ বনদপ্তরের কাছে খবর পৌঁছয় হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। সমাজমাধ্যমে ঘুরতে থাকে সেই ছবি। এরপরই, হুলা পার্টির সদস্যদের নিয়ে পুলিশ ও বনদপ্তর তন্ন তন্ন করে ওই কিশোরের মৃতদেহ খুঁজতে থাকে সুবিশাল হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও, মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় না! শেষ পর্যন্ত ওই জঙ্গলেই রাত্রি ১১টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও বনদপ্তর।
জানা যায়, ৬০-৭০টি হাতির একটি দল গত কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেশিয়াড়ির আশেপাশে। নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ধান। শনিবারও দিনভর কেশিয়াড়ির হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে অবস্থান করছিল প্রায় ৭০টি হাতির বিশাল দলটি। খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় পারুয়া এলাকার বাসিন্দা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দেবপ্রিয় মাহাত শনিবার দুপুর নাগাদ হাতি দেখতেই জঙ্গলে গিয়েছিল বলে পরিবারের দাবি। জঙ্গলে দলছুট একটি হাতি তাকে পিষে দেয় বলে প্রাথমিক অনুমান। খড়্গপুর রেঞ্জের DFO মণীশ কুমার যাদব বলেন, “বারবার এলাকাবাসীদের সতর্ক করা সত্ত্বেও, অতি উৎসাহী হয়ে ছবি তুলতে বা হাতি দেখতে ভিড় করছেন তাঁরা। নাবালকের মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক! আমরা আবারও সকলকে সতর্ক করছি। পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, গত ১৬ মার্চ কেশিয়াড়ি সংলগ্ন জঙ্গল রাস্তায় হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল কেশিয়াড়ি হাই স্কুলের শিক্ষক বাদল চন্দ্র দত্তের!