দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ মার্চ: গত ৮-১০ দিনের মধ্যেই জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। দু’দিন আগেই (শুক্রবার) ঝাড়গ্রাম জেলার ভুলাভেদা এলাকায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোর রাতের হামলায় যথাক্রমে মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে মৃত্যু আরও দু’জনের! জানা যায়, রবিবার ভোরে খড়্গপুর বনবিভাগের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের খেমাশুলিতে হাতির হামলায় মৃত্যু হয় ললিতা মাহাতো নামে বছর ৫৫’র এক মহিলার। অন্যদিকে, মেদিনীপুর বনবিভাগের মেদিনীপুর রেঞ্জের মুড়াকাটা এলাকায় শীলা গড়াই নামে বছর ষাটের এক মহিলাকে ক্ষতবিক্ষত করে একটি পাগলা হাতি। দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি! সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক ও শোকের আবহ এলাকাজুড়ে।

thebengalpost.net
তুলে দেওয়া হল ক্ষতিপূরণের চেক:

এদিকে, এই ঘটনার পরই রবিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর বনবিভাগের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে বনদপ্তরের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মহুল বা কাঠ সংগ্রহের জন্য জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি, মহুল বা ওই জাতীয় জিনিসপত্র বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, হাতির হাত থেকে জঙ্গলমহল বাসীকে রক্ষা করার স্থায়ী ব্যবস্থা যে বনদপ্তর তথা সরকার বা প্রশাসনের তরফে করা সম্ভব হয়নি তা বলাই বাহুল্য! তাই, হাতির হাত থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্ক বা সচেতন করে দেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহল বাসীকে। যদিও, বাড়িতে প্রবেশ করেও হাতি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ! অন্যদিকে, হাতির হামলায় মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করল বনদপ্তর। মেদিনীপুর বনবিভাগের অধীন মেদিনীপুর রেঞ্জের তরফে মুড়াকাটার ঘটনায় নিহত শীলা গোড়াইয়ের ছেলের হাতে রবিবার বেলা তিনটে নাগাদ ক্ষতিপূরণের চেক (৫ লক্ষ টাকার) তুলে দেওয়া হয়। বিধায়ক জুন মালিয়া তাঁর হাতে তুলে দেন চেক। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ছিলেন ডিএফও সন্দীপ বেরোয়াল, রেঞ্জ অফিসার পাপন মোহান্ত সহ অন্যান্যরা। তাঁরা জানান, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তবে, আজ রবিবার হওয়া সত্ত্বেও, সরকার নির্ধারিত চব্বিশ ঘণ্টারও আগে আমরা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিতে পেরেছি পরিবারের হাতে। একইসঙ্গে, জঙ্গল অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তৎপর আছে বনদপ্তরও।”