দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: মেদিনীপুর বনবিভাগের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কড়া সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছিল। চালানো হয়েছিল ব্যাপক প্রচার। তা সত্বেও, সোমবার, ২০ শে চৈত্র (৪ এপ্রিল) আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ‘সারহুল উৎসব’ এবং ‘শিকার উৎসব’ এ মেতে উঠলেন। তবে, অন্যান্যবারের তুলনায় তা অনেক কম। সেক্ষেত্রে বনদপ্তরের আন্তরিক প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামশোলের জঙ্গলে শিকারিরা পৌঁছে যায়। তবে, বনদপ্তরের কড়া প্রহরা ছিল। ছিলেন ডিএফও, এডিএফও থেকে শুরু করে রেঞ্জ অফিসার ও শতাধিক বনকর্মী। অনেককেই, বুঝিয়ে সুজিয়ে বনদপ্তর নিরস্ত করতে পারলেও, কিছুজন ফাঁকফোকর দেখে জঙ্গলে ঢুকে যায়। শিকারও করে তারা। যেভাবে বন শুয়োর, ভাম বিড়াল (Civet), খরগোশ প্রভৃতি বন্যপ্রাণী শিকার করা হয়েছে, তা কখনোই কাম্য নয় বলে মনে করছেন পশুপ্রেমী ও পরিবেশবিদরা। তবে, শিকারের পরিমাণ এবার অনেকটা কমে যাওয়ায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হতে পেরেছে বনদপ্তর।