দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১মে: একেই বলে, “কারও পৌষমাস কারও সর্বনাশ!” আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মেনেই, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। শীতল বারিধারায় আপ্লুত শহরবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, শনিবার থেকে যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তা চলবে আগামী বুধবার (৪ মে) ও বৃহস্পতিবার (৫ মে) পর্যন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টির হলুদ ও কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এদিকে, শনিবারের বৃষ্টির পর, রবিবার একধাক্কায় অনেকটাই নেমেছে তাপমাত্রা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ও গড় তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে- ২২ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার রাতের এই বৃষ্টির পর তাপমাত্রা যে আরও কমবে তা বলাই বাহুল্য।

thebengalpost.net
রবিবার রাতে বৃষ্টি :

কিন্তু, এসবের মধ্যেই মাথায় হাত পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন প্রান্তের বোরা ধান চাষিদের। কালবৈশাখীর দাপটে শনিবারের বৃষ্টির পরই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়, বিঘার পর বিঘা বোরো ধান জলে ভাসছে। প্রায় পাকা ধানে একপ্রকার মই চলে যাওয়ার মতোই অবস্থা। অন্যদিকে, যে সমস্ত কৃষকরা আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পাওয়ার পরই, দ্রুত ধান কেটে নিয়েছিলেন, তাঁদের কাটা ধান একপ্রকার জলের তলায়। শালবনী ব্লকের গড়মাল এলাকার এক কৃষক জানালেন, তাঁর ১০ বিঘা বোরো ধান ছিল। শনিবারের বৃষ্টিতে পুরো ধানই জলের তলায়। এদিকে, রবিবার ফের বৃষ্টিতে তাঁদের মতো কৃষকদের মাথায় হাত! তাঁরা সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন। তবে, বৃষ্টিতে সবজি চাষের তেমন ক্ষতি হবেনা বলে জানিয়েছেন সবজি চাষিরা।

thebengalpost.net
ধান জমিতে জল :

thebengalpost.net
কেটে নেওয়ার পর মাঠে পড়ে থাকা ধান :