thebengalpost.net
সেচ-ই ভরসা :

তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুলাই: একদিকে যখন অতিবৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে দেখা দিয়েছে বন্যা, ঠিক উল্টোদিকে দক্ষিণবঙ্গে চাষের জন্য-ই পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর জুড়ে তাই আমন ধানের চাষের জন্য সেচের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিতেই হয় আমন ধানের চাষ। কিন্তু, এবছর আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো, তবে, এখনো ভরা বর্ষার দেখা নেই! তাই, চাষের জন্য পুকুরের জল বা ভূ-গর্ভস্থ জল সেচের মাধ্যমে ব্যবহার করে বীজ তলা ফেলতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষকদের দাবি, অন্যান্য বছর এই সময় আমন ধান চাষের কাজ অনেকটাই আগিয়ে যায়। কিন্তু, এই বছর বৃষ্টি না হওয়ায়, দেরিতে চলছে আমন ধান চাষের কাজ। আর, সেচের মাধ্যমে চাষের কাজ করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। কৃষকরা তাই এখন চাতকের মতো বৃষ্টির অপেক্ষায়।

thebengalpost.net
মাঠে জল নেই :

এদিকে, সময়মতো কৃষক আমন ধান চাষ না করতে পারলে, তাঁরা ‘জলদি আলু’ বা মরশুমের প্রথম আশু চাষ করতে পারবেন না! ফলে, ওই আলু চাষ অনেকটাই পিছিয়ে যাবে (নামি হয়ে যাবে) বলে, আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আর, তাতে উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। সাথে সাথে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাবে বলে চাষিদের আশঙ্কা। এই বিষয়ে, চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সঞ্জয় কুমার মণ্ডল বলেন, “এই সময় স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা, সেটা এখনো শুরু হয়নি। এর ফলে, চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। এমনকি, এই বৎসর শুধুমাত্র চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হবে। আর, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে, সেচের মাধ্যমে চাষের খরচ-ও বেড়েছে চাষিদের। তবে, এখনই আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই! বৃষ্টি হওয়ার সময় এখনো রয়েছে।” অন্যদিকে, ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করে চাষ কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার বলে জানিয়েছেন তিনি।

thebengalpost.net
সেচ-ই ভরসা :