তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ মার্চ: “সরকারকে আলু বিক্রি করুন। ৬৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হিসেবে কিনবে সরকার!” কৃষকদের সরাসরি এ কথা জানাতেই মাঠে পৌঁছেছিলেন বিডিও এবং ব্লকের কৃষি আধিকারিক। কথা শুরু করতে না করতেই তাঁদের দিকে তেড়ে গেলেন এক কৃষক। কিছুক্ষণ পর তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন অন্যান্য কৃষককরাও। তাঁদের বক্তব্য, “আলু চাষের শুরুতে যখন সারের কালোবাজারি হচ্ছিল, যখন চড়া দাম দিয়ে সার কিনতে হয়েছিল, তখন কি এ.ডি.এ (সহ কৃষি অধিকর্তা) নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিল?” এরপরই উত্তেজনা তৈরি হয় মাঠে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতানগর এলাকার।
শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে মাঠে প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখে কার্যত তাঁদের দিকে তেড়ে যান কৃষকরা। বরুণ দাস নামে ক্ষুব্ধ এক আলু চাষি বিডিও-কৃষি আধিকারিকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “আলু চাষের সময় যখন সারের কালোবাজারি হচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? আর, বাজারেই তো ৬০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল আলু বিক্রি হচ্ছে, ৬৫০ টাকায় কষ্ট করে সরকারকে বিক্রি করতে যাব কেন?” আর, এরপরই ব্লকের বিডিও ও কৃষি আধিকারিকের সাথে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই কৃষক। কিছুক্ষণ পরে ওই আলু চাষির পাশে দাঁড়ান আরও বেশকয়েকজন কৃষক। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ৬৫০ টাকা (প্রতি কুইন্টাল) সহায়ক মূল্য আলু কিনবে প্রশাসন। ৬৫০ টাকা দামটি আলুর প্যাকেট থেকে ক্লোড-স্টোরেজে আলু পৌঁছোনো পর্যন্ত। সরকারের এই ঘোষণা মতো আলু চাষিদের সাথে কথা বলে তাঁদের সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রির বিষয়টি বোঝানোর জন্য মাঠে গিয়েছিলেন বিডিও অমিত ঘোষ এবং কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। সীতানগর এলাকার একটি মাঠে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ, ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক শ্যামদুলাল মাসান্ত পৌঁছে আলু চাষিদের সঙ্গে কথ শুরু করতে না করতেই, কৃষকদের চরম ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিডিও ও কৃষি আধিকারিকদের। কৃষকদের দাবি, সরকার সহায়ক মুল্যের দাম বাড়াক না হলে বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর ব্যবস্থা করুক। গত বছরও সরকার বর্ডার ঘিরে দিয়ে আলু বাইরের রাজ্যে যেতে না দিয়ে চাষিদের ক্ষতিই করেছে। এই বিষয়ে সরাসরি কিছু মন্তব্য করতে চাননি বিডিও অমিত ঘোষ। তবে, কার্যত স্বীকার করে নেন, সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রির জন্য এখনও পর্যন্ত চাষিদের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…