তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: দুর্যোগ কাটলেও চরম বিপাকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকেরা! জলে ডুবে, পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পাকা ধানের। পচছে আলু। কৃষি ঋণ মুকুবেরও কোনো ইঙ্গিত নেই। এদিকে, নতুন করে আলু লাগানো প্রয়োজন। পুনরায় ঋণ না পেলে, চাষ কি করে হবে ভেবে পাচ্ছেন না কৃষকরা! শুধু ঘাটাল মহকুমার চাষিরা এই বছরেই অন্তত ৫ বার বন্যার কবলে পড়েছেন! নাভিশ্বাস অবস্থা তাঁদের। তারপর আবার ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’ হয়ে জাওয়াদ এসে একেবারে নিঃস্ব করলো মহাকুমার কৃষকদের!

thebengalpost.net
পচে গেছে ধান :

এমনিতেই বন্যা আর বৃষ্টির দাপটে চাষিদের অবস্থা নিদারুণ হয়েছিল; কারণ প্রথম থেকেই তাঁরা কিছুটা সরকারি ঋণ আর কিছুটা মহাজনী ঋন বা দাদন নিয়ে চাষ করেছিলেন। সেই চাষেই, একই বছরে ৩ টি ফসল মার খেয়েছে। ফলে, একদিকে তাঁদের ব্যাংকের ঋণের বোঝা বাড়ছে, অন্য দিকে মহাজনী ঋণ শোধ করতে না পারায় আবার নতুন করে মাঠে চাষ করার সব পথ বন্ধ। ইতিমধ্যে, মহাকুমায় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। দিশেহারা কৃষক কোথাও কোথাও সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে ঋণ মুক্তির দাবিতে ঘেরাও করেছে। দ্বারস্থ হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সুরাহা মিলছে না। এই অবস্থায় চাষিদের করুণ আর্তি, সরকার তাদের ঋণ মুকুব করুক। পুনরায় চাষীদের ঋণ দিক। যাতে তারা পুনরায় চাষ করতে পারে। চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দৌলই বলেন, “আমার এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমি চাষ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক বড় চাষি না খেতে পেয়ে, লুকিয়ে সরকারি সাহায্য চাল, গম চাইতে আসছে। আমরা পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।” অন্যদিকে, চাষিদের দাবি নিয়ে আন্দোলন নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিপিআইএম সহ বাম দলগুলি।

thebengalpost.net
দুর্বিবাকে কৃষকরা :