দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুলাই: তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কোনো খামতি রাখতে রাজি নয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এই মুহূর্তে তাই অত্যন্ত কম করোনা রোগী থাকলেও, জেলার করোনা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে সবরকম ভাবে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, শালবনীর ডালমিয়া সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত আয়ুশ হাসপাতালের (বর্তমানে, আয়ুশ করোনা হাসপাতালে) হাতে ২০ টি উন্নত মানের বেড (ফাউলার বেড) তুলে দেওয়া হল। কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার কপিল মুনি পান্ডে জানিয়েছেন, “জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের আহ্বানে কোম্পানির সিএসআর ফান্ড থেকে ২০ টি ফাউলার বেড তুলে দেওয়া হল।” পান্ডে ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির কমার্শিয়াল হেড প্রেমাশিস মিশ্র, আয়ুশ করোনা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডাঃ উন্মেষ করণ প্রমুখ। এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “জেলায় এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত কম হলেও, তৃতীয় ঢেউয়ের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকাঠামোর ব্যবহার করা হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ৩১ জন। অপরদিকে, এই মুহূর্তে আয়ুশ করোনা হাসপাতাল ও শালবনী করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন যথাক্রমে ৩ জন করে মোট ৬ জন।
অন্যদিকে, ওসিএল-ডালমিয়া সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের শালবনী প্ল্যান্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার তথা কো-অর্ডিনেটর কপিল মুনি পান্ডে এদিন এও জানিয়েছেন, শালবনীর ওসিএল-ডালমিয়া সিমেন্ট কারখানায় কর্মরত সকল কর্মচারীদের একটি করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, এই অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যেও। তিনি জানিয়েছেন, চলতি মাস থেকেই এই সুবিধা পাবেন সকল কর্মচারীরা।