দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ এপ্রিল:”তৃণমূলের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারপিট! কেউ কাউকে বিশ্বাসই করতে পারছে না। কে সামনে থাকবে, কে পিছনে থাকবে, তাই নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব। কে কখন দল ছেড়ে চলে যাবে, বোর্ড ভেঙে যাবে, সেই ভয়ে সিআইসি নিয়ে সিদ্ধান্তই নিতে পারছেনা! ওদের দলের কাউন্সিলররাই বলছেন, দলে আমাদের কোনো গুরুত্বই নেই! নিজেদের দ্বন্দ্বে পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করতে পারছেনা। আর, তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।” খড়্গপুর পৌরসভায় এখনও অবধি সিআইসি (Chairman in Council)-দের নাম ঘোষণা করতে না পরায়, রবিবার রেলশহরে বসে এভাবেই শাসকদলকে আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।‌ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ চেয়ারম্যান শপথ নিয়েছেন। তারপর ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। তবে, ৫-টি সিআইসি পদের জন্য এখনও কাউকে স্থির করতে পারেনি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর, এ নিয়েই বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুললেন!

thebengalpost.net
দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে:

অন্যদিকে, খড়্গপুর পৌরসভার বিরোধীদলের কাউন্সিলর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, স্পষ্টতই জানাচ্ছেন জল, জঞ্জাল, ট্যাক্স, PWD র মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সিআইসি না থাকায় সমস্যা বাড়ছে। বিজেপি কাউন্সিলর (২৬ নং ওয়ার্ড) অনুশ্রী বেহারা’র অভিযোগ, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে সিআইসি-দের নাম ঘোষণা করতে পারেনি তৃণমূল। আর, এর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রায় দেড় মাস হতে চললো, এই সমস্ত দপ্তরগুলি থেকে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না।” একই কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর (২২ নং ওয়ার্ড) মধু কামি-ও। তাঁর মতে, “এখনো পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠিত না হওয়ায় নিঃসন্দেহে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এমনকি, আমাদের কাউন্সিলরদেরও কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তৃণমূল CIC-দের নাম ঘোষণা করতে পারেনি বলে আমিও শুনেছি।” যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খান জানিয়েছেন, “সেরকম কিছু সমস্যা হচ্ছে না। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-রা আছিতো। আমরা কাজ করছি।‌ তবে, দ্রুত নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানতে পেরেছি।” এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সমস্ত কাউন্সিলররাই মিলেমিশে কাজ করছেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-রাও আছেন। রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অনুমোদন এলে সিআইসি-দের নামও ঘোষণা করে দেওয়া হবে। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সিআইসি-দের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।” ‌