দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পঞ্চায়েত গঠনের পথে তৃণমূল। মেদিনীপুর গ্রামীণের চাঁদড়া পঞ্চায়েতে অনাস্থায় জয়ী হয়ে, বিজেপির কাছ থেকে পাকাপাকিভাবে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল শাসকদল। উল্লেখ্য যে, একুশের বিধানসভায় জয়লাভের পর থেকেই বিজেপির ৪ জন সদস্য একে একে শাসকদলে নাম লেখান। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪ টি আসন বিশিষ্ট ওই চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ টি আসন দখল করে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। প্রধান হয়েছিলেন বিজেপির শীলা মাহাতো। বিজেপির উপপ্রধান ছিলেন তারাপদ মাহাতো। এরপর, একে একে বিজেপির ৪ পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে নাম লেখানোয় ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে ১০ – ৪ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজেদের ১০ জন সদস্যকে হাজির করে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে জয়ী হয় তৃণমূল।
এরপর, মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিজয় মিছিল বের করে শাসক গোষ্ঠী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করে। তবে, “উন্নয়ন” থেকে এই এলাকাবাসী বঞ্চিত থেকেছে বলেই অভিযোগ। ফলে, এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের পক্ষে যাওয়ায় খুশি এলাকাবাসী! ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অনেক আগেই গঠিত হয়। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে আটকে ছিল চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন। এদিকে, আটকে ছিল উন্নয়ন! বঞ্চিত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। ২০১৮ সালের আগেই যেটুকু উন্নয়ন হয়েছিল বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী বলেন, “এই অঞ্চলে যা উন্নয়ন দেখছেন সবই ঝাপু’র আমলকার। তারপর উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও আসেনি। আজও থমকে সবকিছুই।” উল্লেখ্য যে, ২০১৩ থেকে ‘১৮ পর্যন্ত তৃণমূলের বোর্ডে এই তারকনাথ বেরা ওরফে ঝাপু ছিলেন উপ প্রধান। ফের সেই ঝাপুর নেতৃত্বেই উন্নয়ন চাইছেন এলাকাবাসী! আর, প্রাক্তন উপপ্রধান তারকনাথ বেরা (ঝাপু)’র নিজের বক্তব্য, “সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশি দিন ধরে রাখা যায়না। জানতাম একদিন মানুষের জয় হবেই! আশা করি সবাই বিজেপিকে বুঝে নিয়েছে। এলাকাকে ফের উন্নয়নমুখী করতে আমরা মুখিয়ে আছি।” মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে বলেন, “চরম দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এবং বিজেপি নেতাদের দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে, ওদের পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেন।”