তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ ডিসেম্বর: ট্যাবলো, কথাবলা পুতুল ও ম্যাজিক শো এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সচেতন করতে পথে নামলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। বার্তা দেওয়া হল- জিরা থেকে হিরা আপনি যা কিনতে চান, একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী আছে আপনাকে ঠকাতে পারে! তাই কেনাকাটার সময় সচেতন হতে হবে। প্রতি কেনাকাটায় নিতে হবে ক্যাশ মেমো। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের (ঘাটাল মহকুমার), উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে মহকুমার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে, হাটে-বাজারে ট্যাবলো নিয়ে প্রচার চলছে। কথা বলা পুতুল ও ম্যাজিক শো এর মাধ্যমেও ক্রেতাদের সচেতন করতে দেখা গেল ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে। ক্রেতাদের ঠকে গেলে প্রতিকারের জন্য অভিযোগ জানানোর আবেদন জানানো হচ্ছে দপ্তরের পক্ষ থেকে। সেজন্যই প্রয়োজন পাকা বিল বা রসিদ বা ক্যাশ মেমোর!
দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, একজন ক্রেতা সচেতন হয়ে কেনাকাটার পরেও যদি ঠকে যায়, কোথায় কিভাবে অভিযোগ জানাবেন, সে বিষয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। কোন দোকানদার বিল দিতে রাজি না হলে, সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং অথরিটি বা পঞ্চায়েত বা পৌর প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে অভিযোগ করা যাবে। যেকোনো পণ্য কেনার সময়, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ (Expiry Date) দেখে নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হলে, জেলার আঞ্চলিক কার্যালয়ে মধ্যস্থতার মাধ্যমে অথবা উপভোক্তা কমিশনে অভিযোগ করা যাবে। সাথে বিনে পয়সায়, সরকারি খরচে উকিল দিয়ে সহযোগিতা করা হবে দপ্তরের পক্ষ থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহ অধিকর্তা অমর্ত্য ঘোড়ই বলেন, “সারাবছরই ট্যাবেলো, সেমিনার, কথা বলা পুতুল সহ বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের সচেতন করা হয়। জেলাজুড়ে এই ধরনের কর্মসূচি আগামী দিনেও চলবে। একজন সচেতন ক্রেতাই সমাজ গড়ার কারিগর। সচেতন ক্রেতাই সুরক্ষিত ক্রেতা।”