দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুন: শুরু করেছিলেন রক্তদান উৎসবের মধ্য দিয়ে। শেষ-ও করলেন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান (DPSC Chairman) হিসেবে ৯ মাসের যাত্রাপথ শেষ হল কৃষ্ণেন্দু বিষই-এর। বুধবার-ই তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন ডি.আই (প্রাথমিক) তরুণ সরকার-কে। তার আগে, দিনটিকে উল্লেখযোগ্য করে রাখতে আয়োজন করেছিলেন রক্তদান শিবিরের। গত সেপ্টেম্বর (২০২১) মাসে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার দিন-ও এভাবেই এক আড়ম্বরপূর্ণ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন কৃষ্ণেন্দু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই-কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ডি.আই-কেই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ-ও দেওয়া হয়েছে। এরপর, বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যভার হস্তান্তর (Charge Handover) করলেন কৃষ্ণেন্দু বিষই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণেন্দু একজন প্রাথমিক শিক্ষক এবং শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে, গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও৷ এরপর, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণেন্দু-কে ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব-ও দেওয়া হয়। সেই সময় বিভিন্ন মহলে বিতর্ক-ও তৈরি হয় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কে এই পদে বসানোর জন্য। কারণ, এর আগে সাধারণত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা অধ্যাপকরাই এই দায়িত্ব সামলেছেন। তবে, চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৯ মাসে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। অনেক জটিল সমস্যার সমাধান-ও করেছিলেন। বরাবরের মতো অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন-ও করেছেন। এসবের মধ্যেই, গত ২৪ জুন হঠাৎ করেই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়। ফের একবার জল্পনা তৈরি হয় নানা মহলে! কারণ, এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতের নির্দেশে চলছে সিবিআই তদন্ত। আর, তার মাঝেই কোচবিহার ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুই চেয়ারম্যান-কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে রহস্য দানা বাঁধে। বিশেষত, তাঁরা দু’জনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলেও ওয়াকিবহাল মহলের মত। তবে, সমস্ত জল্পনা আর বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে কৃষ্ণেন্দু বুধবার জানিয়েছেন, “আমি এই পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা মনোনীত হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমার যোগ্যতার থেকে বেশি সম্মান ও দায়িত্ব লাভ করেছি। আর, মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা’র প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছি। যতদিন-ই দায়িত্বে থাকি না কেন, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর, সরকার একসময় দায়িত্ব দিয়েছিল, এই মুহূর্তে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জল্পনার কিছু নেই! কোনো অভিযোগ, ক্ষোভের জায়গাও নেই। আমি এবার আরও ভালো করে আমার দলের ও সংগঠনের কাজগুলো করতে পারবো। সর্বোতভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে থাকবো নেত্রীর নির্দেশ মতো।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…